বয়স যে শুধুই একটি সংখ্যা—ডেভিড ওয়ার্নার তা দেখিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বয়স ৩৭ পেরোনোর পরও গড়ে চলেছেন একের পর এক রেকর্ড। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন হয় পাকিস্তান, তখন তাঁকে থামানো বেশ কঠিন হয়ে যায়। এশিয়ার দলটিকে পেলেই ওয়ার্নারের ব্যাট কাজ করে তরবারির মতো।
পাকিস্তান যে ওয়ার্নারের ‘প্রিয়’ প্রতিপক্ষ, সেটা যেন তিনি প্রমাণ করেছেন চার বছর আগেই। ২০১৯-এর নভেম্বরে অ্যাডিলেডে ৪১৮ বলে ৩৩৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এটা ওয়ার্নারের টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস। ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০-এর পর ওয়ার্নারের ৩৩৫ অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এরপর ভেন্যু বদলেছে, সংস্করণ বদলেছে—পাকিস্তানকে পাওয়ামাত্রই তিনি করেছেন রেকর্ড।
ওয়ার্নারের রেকর্ড গড়ার পেছনে পাকিস্তানি ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাতেরও অবদান রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে এ বছরের ২০ অক্টোবর ২০২৩ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া। সেদিন ব্যক্তিগত ১০ রানে জীবন পেয়েছিলেন ওয়ার্নার। শাহিনকে পুল করতে যান তিনি। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল তালুবন্দী করতে পারেননি উসামা মীর। জীবন পাওয়া ওয়ার্নার এরপর ১২৪ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারের সেটা ছিল বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। তাতে বিশ্বকাপে অজি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ডে ভাগ বসান ওয়ার্নার। ২০২৩ বিশ্বকাপেই ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারে ৬ সেঞ্চুরি করে শীর্ষে উঠেছেন তিনি।