নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি–টোয়েন্টিতে তাসকিন আহমেদ আর শরীফুল ইসলামের একটি উদ্যাপন মনে করিয়ে দিয়েছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আর তাসকিনের একটি উদ্যাপনকে। শূন্যে ভেসে বুকে বুক লাগিয়ে সেই সেলিব্রেশনটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ম্যাশকিন’।
২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে অজিঙ্কা রাহানেকে আউট করার পর তাসকিন-মাশরাফি এমন উদ্যাপন করেছিলেন। ছয় বছর পর এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি–টোয়েন্টিতে ফিন অ্যালেনকে আউট করে এমন উদ্যাপনে মাতেন শরীফুল ও তাসকিন।
সেই সেলিব্রেশনের কারণ জানাতে গিয়ে আজ মিরপুরে তাসকিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শরীফুল বলছিল যে, ভাই একটা সেলিব্রেশন করা দরকার। আমরা দুজনেই বিশ্বকাপ দলে আছি। আমি বললাম, দেখ্ ওইভাবে তো কখনো সেলিব্রেট করা হয়নি। একবারই করা হয়েছে মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে। করলে ওটাই করতে পারিস। ও বলল ঠিক আছে।’
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পেস আক্রমণ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তাসকিন। যদিও ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই এই ডানহাতি পেসারের। তাসকিনের আশা এমন কন্ডিশনে ভালো বোলিং করে ম্যাচ জয়ে অবদান রাখবেন, ‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত। কারণ ওমানে এর আগে কখনো খেলতে যাওয়া হয়নি। এমনকি দুবাইয়েও যে ইভেন্টগুলো হয়েছে, সেখানে আমার খেলা হয়নি। এবার একাদশে থাকলে ভালো কিছু উপহার দিয়ে ম্যাচ জেতাতে চাই।’
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে মন্থর উইকেটের কারণে তেমন খেলা হয়নি ফাস্ট বোলার তাসকিনের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুধুমাত্র শেষ টি–টোয়েন্টি খেলেছেন। তাই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে মাঠের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নেওয়া হয়নি তাঁর। তারপরও ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী ২৬ বছর বয়সী এই পেসার, ‘কন্ডিশনের কারণে সর্বশেষ দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিয়মিত খেলতে পারিনি। এখন ওটিস গিবসন (পেস বোলিং কোচ) ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কাজ করছি। ওমানে গিয়েও প্রস্তুতির সময় পাব। আমার বিশ্বাস ভালো করতে পারব।’