ক্রীড়া ডেস্ক
চুক্তির পাঁচ মাস বাকি থাকার আগেই ছাঁটাই হয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাঁর বিরুদ্ধে মাঠে খেলোয়াড়ের সঙ্গে অসদাচরণের প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিনি পাওনা ছুটির চেয়ে অনেক বেশি ছুটিও কাটিয়েছেন। এই দুই অভিযোগে বরখাস্ত করার আগে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বিসিবি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাথুরু তাঁর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর ব্যাখ্যা পাওয়ার পর সবকিছু পর্যালোচনা করতে আজ জরুরি বোর্ড সভায় আলোচনা করা হয়। সবকিছু বিবেচনা করে হাথুরুর ব্যাখ্যা ‘অসন্তোষজনক, অগ্রহণযোগ্য ও দায়িত্ব পালনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ মনে করে বিসিবি। এই জরুরি সভায় উপস্থিত এক পরিচালক আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, হাথুরু নিজের ব্যাখ্যায় দাবি করেছেন, তিনি নাসুমকে (নাসুম আহমেদ) চড় মারেননি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেননি। তাঁর এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য মনে করেনি বিসিবি। ওই পরিচালক আরও জানান, হাথুরু যেমন তাঁর আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বিসিবিও তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিজেদের আইনজীবীর পরামর্শেই।
১৫ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। দ্রুততম সিদ্ধান্তে বরখাস্ত করা হয় লঙ্কান কোচকে। হাথুরুর বিকল্প হিসেবে ফিল সিমন্সকে পাঁচ মাসের চুক্তিতে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করবেন। এখনই লম্বা সময়ের জন্য তাঁকে চাইছে না বিসিবি।
সিমন্সের নিয়োগের বিষয়টি আজ অনুমোদন পেয়েছে বিসিবির পরিচালকদের সভায়।