এনামুল হক জুনিয়রের খাটো লেংথ ডেলিভারিতে পরাস্ত হলেন ফিফটির নিকটে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তারকা ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটকিপার জাকির হাসানের গ্লাভসবন্দী হয়ে ফেরার পথে মিরপুরের মাঠকর্মীর ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন ব্যাটার। এ সময় মাহমুদউল্লাকে ড্রেসিংরুমে দরজায় লাথি মারতেও দেখা যায়। তবে এই সবকিছুর ক্ষোভ যে পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার ওপর ঝেড়েছেন সেটা দূর থেকেই বোঝা যাচ্ছিল।
আজ সুপার লিগে টিকে থাকার লড়াইয়ে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১.৫ ওভার বাকি থাকতেই ১৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে মোহামেডান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। আর রূপগঞ্জের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন এনামুল হক।
উইকেট বেশ মন্থর থাকায় ম্যাচের শুরু থেকে বল প্রায়ই নিচু হয়ে আসছিল। এতে ভালোই সুবিধা নিয়েছেন রূপগঞ্জের স্পিনার এনামুল। শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করেন তিনি। এতে টানা পরাস্ত হয়েছেন মোহামেডানের ব্যাটাররা। যদিও শুরুর উইকেটগুলো পেয়েছেন রূপগঞ্জের পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা মোহামেডানের হয়ে এক প্রান্তে প্রতিরোধ গড়েন পাঁচে আসা রিয়াদ। এক প্রান্তে ব্যাট হাতে বেশ সাবলীল গতিতে রান তুলেছেন এই তারকা ব্যাটার। তবে বেশি রভাগ সময়ই খাটো লেংথের বলে ভুগতে দেখা যায় তাঁকে।
৩৫তম ওভারে এনামুলের বেশ কয়েকটি ডেলিভারি নিচু হয়ে আসছিল। মাহমুদউল্লাহ কোনোভাবে সেই ওভার পার করেন অন্য প্রান্তে থাকা শুভাগত হোমকে নিয়ে। তবে ৩৭তম ওভারের প্রথম বলেই কট বিহাইন্ড হন মাহমুদউল্লাহ। অনেকটা নিচু হয়ে আসা বল এই ব্যাটারের ব্যাটের কানায় লেগে জাকিরের গ্লাভসবন্দী হলে ৫২ বলে ৪৮ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।
ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় গামিনির রুমের কাছে দাঁড়িয়ে মিরপুরের এই পিচ কিউরেটরের উদ্দেশে কিছু বলতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে। এরপরই উইকেটে ছুটে আসেন গামিনি ৷
মিরপুরের উইকেট নিয়ে অবশ্য আলোচনা-সমালোচনা নতুন নয় ৷ খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মিরপুরের উইকেট নিয়ে নানা সময়ে আলোচনা-সমালোচনা চলে ৷ যদিও রহস্যময় এই মিরপুরের উইকেট নিয়ে যত কথাই হোক, লম্বা সময় ধরেই সেটির তত্ত্বাবধানে আছেন লঙ্কান কিউরেটর গামিনি ৷
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সম্পর্কিত পড়ুন: