নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রথম সেশনে নেই ৪ উইকেট, দ্বিতীয় সেশনেও আরো ৪ উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ দল। দিনের ৫৮ ওভার খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৯ রান। এক এক করে বিশেষ ব্যাটার সবাই ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে। লেজের দুই ব্যাটার নাঈম হাসান ৪ ও তাইজুল ইসলাম অপরাজিত আছেন ৪ রানে।
ঢাকা টেস্টে প্রশ্নপত্র একরকম ফাঁসই ছিল। ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে স্পিনের বিপক্ষে। প্রথম দিনের প্রথম সেশনে সেই পরীক্ষায় নাকাল অবস্থা বাংলাদেশের ব্যাটারদের। ৪ উইকেটে ৮০ রান তুলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেছে তারা।
ফাস্ট বোলিং দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে সেটির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৫ ওভার পর্যন্ত। ‘ঘূর্ণিযুদ্ধে’ পেস বোলিং যেন বিলাসিতা! সময়ক্ষেপণ না করে ষষ্ঠ ওভার থেকেই এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনারকে দিয়ে ঘূর্ণির আক্রমণ শুরু করে নিউজিল্যান্ড।
১১তম ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন দ্বিতীয় টেস্টে ফেরা স্যান্টনারই। কম গতির বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করেন ওপেনার জাকির হাসান। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে ওপরে উঠে যায় বল। মিড অনে দারুণ ক্যাচ নেন কেন উইলিয়ামসন। ২৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে বাংলাদেশ দলের। ২৪ বলে ৮ রান আসে জাকিরের ব্যাট থেকে।
পরের ওভারে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে ফেরান প্যাটেল। শুরু থেকেই কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন জয়। ১২তম ওভারে প্যাটেলের বল ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে শর্ট লেগে টম লাথামের হাতে জমা পড়ে। ৪০ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলেছেন জয়।
দুই ওপেনারই ২৯ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ২৯ থেকে ৪৭ রান; অর্থাৎ ১৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। ১৪তম ওভারে প্যাটেলের বলে ইনসাইড-এজ হয়ে উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুমিনুল হক (৫)। পরের ওভারে স্যান্টনারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত (৯)।
পঞ্চম উইকেটে বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করছিলেন মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। ৫০ পেরোনো একটি জুটিও গড়েছিলেন দুজনে। কিন্তু মুশফিকের খামখেয়ালি এক আউটে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
৪১তম ওভারে জেমিসনের বলটা রক্ষণাত্মক খেলেছিলেন মুশফিক, বল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে চলে যাচ্ছিল। মুশফিকের (৩৫) মনে কী যে হলো, গ্লাভস দিয়ে বলটা আবার সরিয়ে দিতে গেলেন। এরপর যা হওয়ার সেটিই হলো, ক্রিকেটীয় আইনে সেটি ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট! একেবারেই অহেতুক, অপ্রয়োজনীয় এবং অবাক করা আউট। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন আউট এবারই প্রথম।
এরপর ফিলিপসের শিকার হয়ে দ্রুত ফেরেন দিপুও (৩১)। দ্বিতীয় টেস্টেও প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেন নুরুল হাসান সোহান। ৭ রান করে ফেরেন ফিলিপসের বলে স্যান্টনারকে ক্যাচ দিয়ে। এরপর ২০ রানে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফেরান স্যান্টনার