টানা আট ম্যাচে জেতার পর হঠাৎ ছন্দপতন! লিগ পর্বে পরের চার ম্যাচে টানা হেরেছে রংপুর রাইডার্স। সরাসরি কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ হাতছাড়া তো হলোই, সঙ্গে টানা হারে আত্মবিশ্বাসও যে কিছুটা নড়বড়ে রাইডার্সদের, সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সঙ্গে অ্যালেক্স হেলস-খুশদিল শাহদের চলে যাওয়া তাদের চিন্তাও বাড়িয়েছে খানিকটা। নতুন বিদেশি উড়িয়ে এনে কন্ডিশনের সঙ্গে প্রথম দিন মানিয়ে নেওয়া নিশ্চয়ই সহজ হওয়ার কথা নয়। কাল তারা দুপুরে মাঠে নামছে এলিমিনেটরের ম্যাচে। এর মধ্যে নতুন কোনো বিদেশি যুক্ত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি।
সময়টা রংপুরের জন্য কিছুটা কঠিন, তবে এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। জাতীয় দলের ডাকে পাকিস্তান চলে গেছেন চলতি বিপিএলের সবচেয়ে ইম্প্যাক্ট-ফুল ক্রিকেটার খুশদিল। হেলস কয়েক ম্যাচ মাতিয়েছেন বেশ। কদিন ধরেই তাঁদের জায়গায় নতুন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে কথা হচ্ছে। বাস্তবে রংপুরে নতুন করে যোগ দিচ্ছেন কারা? শেখ মেহেদী বললেন, ‘কে আসছে, না আসছে, আমার কোনো ধারণা নেই।’
গতবারও দারুণ খেলে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর। শেষ পর্যন্ত ফাইনাল খেলতে ব্যর্থই হয়েছে তারা। দলের অবস্থা যা-ই হোক, শেখ মেহেদী জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য শুধুই ফাইনাল। আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে রংপুরের এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘শেষ দুই বছর আমরা ৩ নম্বর হয়েছি, ফাইনালে উঠতে পারিনি। এ বছর আরও একটা সুযোগ আছে। গত দুই বছরের এটা (বাধা) ভাঙতে চাই এবার। আমরা ফাইনালে যেতে চাই। ফাইনালে যেতে হলে আগামীকালের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের স্থানীয় যে সাতজন আছে, তাদের পারফরম্যান্সটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রথম দিকে শীর্ষে থাকা রংপুর ছন্দ হারিয়ে তিন নম্বরে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে। ফাইনালে পৌঁছাতে হলে জিততে হবে আরও দুই ম্যাচ। কাল এলিমিনেটরে তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স। ব্যাপারটা যে সহজ হবে না সেটিও মানছেন মেহেদী, ‘এখানে থাকতে পারলে ভালো হতো। এখন তো আমাদের চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি। সেরা দুইয়ে থাকলে সুযোগ দুইটা থাকে। এখন পুরো নকআউটে চলে এসেছি। এটা আসলে ডু অর ডাই। দেখা যাক আগামীকাল কী হয়।’
তারপরও মেহেদী বিশ্বাস দারুণ কিছু দেখানোর সামর্থ্য রয়েছে রংপুরের, ‘বিশ্বাস তো সব সময় আছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই বিশ্বাস নিয়ে যায় মাঠে। কিন্তু সব সময় দিন এক রকম যায় না। আমরা কোয়ালিফাই করতে পারিনি, কিন্তু এখনো আমাদের একটা সুযোগ আছে। সুযোগটা আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি। আমার মনে হয়, দলে যারা আছে, সবাই ফুরফুরে মেজাজে আছে। কারণ, এ সময় দল হিসেবে যদি ভেঙে পড়ি, আমরা চারটা হেরেছি, তাহলে এখান থেকে বের হতে পারব না।’