প্রথম তিন ম্যাচ হেরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল থেকে আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি তাই বাংলাদেশের কাছে সান্ত্বনার। শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ১ বল আগে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান। এর মধ্যে রিজওয়ানকে আউট করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শরীফুল ইসলামের বলে ফাইন লেগে রিজওয়ানের সহজ ক্যাচ ছাড়েন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ৭৮ রানে যে উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারত, তা ভেঙেছে ১০১ রানে। ১৩তম ওভার বোলিং করতে এসে ফিফটি পেরোনো বাবরকে আউট করে জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাবরের যা ২৯তম ফিফটি। একই ওভারে রানের খাতা খোলার আগে হায়দার আলিকে বোল্ড করেন হাসান। বাংলাদেশের এই পেসার ১৩তম ওভারে মাত্র ২ রান দেন।
বাবর, হায়দারের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন মোহাম্মদ নওয়াজ। তৃতীয় উইকেটে ৩৬ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান-নওয়াজ। রিজওয়ানকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ৩২ রানে জীবন পাওয়া রিজওয়ান আউট হয়েছেন ৬৯ রানে। আর শেষ ওভারের পঞ্চম বলে সাইফুদ্দিনকে চার মেরে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন নওয়াজ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন হাসান। ম্যাচ-সেরা হয়েছেন রিজওয়ান। ৫৬ বলে ৬৯ রান করেছেন পাকিস্তানের এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৩ করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেছেন লিটন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন সাকিব। দুজনেই খেলেছেন সমান ৪২ বল। পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।