২০২২ সালে নিয়মিতই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মোসাদ্দেক। খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। তবে ব্যাটে-বলে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। ঘরোয়া লিগেও সর্বশেষ খেলেছেন ৮ মাস আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। কেন্দ্রীয় চুক্তির খেলোয়াড় হিসেবে বছরজুড়ে মোসাদ্দেককে বেতন দিলেও তাঁকে খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি বিসিবি।
সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের জন্য ‘সি’ গ্রেডের একজন ক্রিকেটারের বেতন সাধারণত মাসিক ১ লাখ টাকা। সে হিসেবে বছরে বিসিবির ১২ লাখ বেতন পেলেও মোসাদ্দেকের খুব একটা মাঠে থাকা হয়নি। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর থেকেই চোটে পড়ে খুব একটা খেলার মধ্যে ছিলেন না মোসাদ্দেক। কদিন আগে জানিয়েছিলেন, বিসিএল ওয়ানডে দিয়ে তাঁর ফেরার পরিকল্পনা।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির চুক্তিতে থাকা সোহান এ বছর খেলেছেন একটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট। সারা বছরের জন্য সম্ভাব্য ২১-২২ জন ক্রিকেটার নিয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তি করে থাকে বিসিবি। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের আগের বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় আনা হয়। বেশির ভাগ চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ই জাতীয় দলে নিয়মিত খেলে থাকেন। কখনো কখনো কিছু খেলোয়াড়ের সেভাবে সুযোগ আসে না। তবে মোসাদ্দেকের মতো পুরো বছর কখনোই জাতীয় দলের চৌহদ্দি না আসাটা ব্যতিক্রম ঘটনাই বটে।
২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের তালিকা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সামনের এক বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আসতে পারে কিছু পরিবর্তনও। চলতি বছর ২১ ক্রিকেটারকে চুক্তিতে রেখেছিল বিসিবি। আজ বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে জানিয়েছেন তামিমের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েই তাঁরা ঘোষণা করবেন।