ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: ম্যাচ শুরুর আগে বিবিসি স্পোর্টসকে জিমি অ্যান্ডারসন জানালেন, ‘এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না!’ বিশ্বাস করতে না পারারই কথা অ্যান্ডারসনের। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যখন টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তখনো নিজের শরীরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপযুক্ত ভাবেননি! ১৮ বছরে ১৮টি ‘ইংলিশ সামার’ কাটিয়ে সেই অ্যান্ডারসন আজ ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলতে নেমেছেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডসে জিমি অ্যান্ডারসন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন। চুলে সোনালি রং, মুখে লাজুক ভাব। চুলের সেই স্টাইল থেকে সরে আসলেও অ্যান্ডারসনের সেই লজ্জা ভাবটা এখনো আছে। উপযুক্ত না ভাবা শরীরটাকে সময়ের সঙ্গে গড়ে তুলেছেন। ১৮ বছরে নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি সেই ক্ষুধাটা এখনো রয়ে গেছে। একই সময়ের সতীর্থ আর পরে আসা অনেকেই খেলাটাকে বিদায় বলেছেন। এখনো সকাল হলে অ্যান্ডারসন পরের ম্যাচের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন জিমে-নেটে।
আর কিছুদিন পর ৩৯-এ পা দেবেন অ্যান্ডারসন। খেলাটাকে এখনো আগের থেকে বেশি উপভোগ করেন। তা শুধু মুখে নয়, প্রমাণ আছে পরিসংখ্যানেও। প্রতি বছর উইকেটের সংখ্যায় ছাড়িয়ে যাচ্ছেন আগের সংখ্যাকে। ৬১৬ উইকেট নিয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলারদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন। এই টেস্টে সুযোগ থাকছে তিনে ওঠার। ৬১৯ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় কিংবদন্তি লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে।
যাঁকে ছাড়িয়ে ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্টের সিংহাসনে বসেছেন, সেই স্যার অ্যালিস্টার কুক থেকে পেয়েছেন উষ্ণ শুভেচ্ছা। আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা কুক এই সিরিজে ধারাভাষ্যকর হিসেবে আছেন বিবিসি স্পোর্টসে। সেখানে প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে অনুভূতির কথা বলেছেন, ‘ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত। একজন পেস বোলারের নামের পাশে ১৬২টি টেস্ট! তবে নামটা অ্যান্ডারসন বলে একদমই আশ্চর্য হচ্ছি না। নিজের রেকর্ডটা জিমির নামের পাশে দেখে দারুণ লাগছে।’
নিজেকে দ্বিতীয় স্থানে দেখে কেমন লাগছে কুকের? এমন প্রশ্নে জানালেন, ‘সত্যি বলতে আমি গর্বিত। সে (অ্যান্ডারসন) নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। এত বছর ধরে একই উদ্যমে খেলে যাওয়া দুর্দান্ত ব্যাপার। এটা আসলে তার পক্ষেই সম্ভব।’
আগের রাতে প্রিয় বন্ধু কুকের কাছ থেকে ফোনকলে শুভেচ্ছা পেয়েছেন অ্যান্ডারসন। ম্যাচ শুরুর আগে বিবিসি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে জানালেন সেই কথা। এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না ইংল্যান্ডের হয়ে এতগুলো টেস্ট খেলে ফেলেছেন। কেমন উত্তেজনা অনুভব করছেন এমন প্রশ্নে বলেছেন, ‘আগের রাতে ঘুম ভালোই হয়েছে। আমি খুবই ভাগ্যবান যে আমার শরীর সব চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি ফিটনেস নিয়ে। আশা করি এভাবে আরও কিছু বছর চালিয়ে যেতে পারব।’