আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে যুবাদের টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায়নি এখনো। সুপার লিগ পর্বের প্লে-অফ সেমিফাইনালে অ্যান্টিগায় আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ড ও ভারত ম্যাচের রোগ পাকিস্তান ম্যাচেও ভর করেছে বাংলাদেশকে। সেই নড়বড়ে ব্যাটিং আজও ফুটে উঠেছে প্রবলভাবে। ব্যাটাররা যথারীতি হতাশ করেছেন।
তবে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন আরিফুল ইসলাম। ডানহাতি এ ব্যাটার পেয়েছেন সেঞ্চুরি। বাকি দশ ব্যাটার ও ‘মিস্টার এক্সটা’ মিলে করেছেন ৭৫! তাতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ বল বাকি রেখে ১৭৫ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
এর আগে ১১৯ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রানের ইনিংসটি খেলেন আরিফুল। যুব বিশ্বকাপে এটি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটারের সপ্তম সেঞ্চুরি। তবে আরিফকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি। এছাড়া এসএম মেহেরব করেন ১৪ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
পাওয়ার প্লেতে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ২০ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ করেছে আরও কম, ১৭ রান। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে আরিফুল আঁকড়ে ছিলেন ২২ গজে। ৫০ রান পেতে বল খেলেন ৮২ টি। সেঞ্চুরিতে পৌঁছেন পরের ৩৬ বলে।
পাকিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আওয়াইস আলী ও মেহরান মুমতাজ। একটি করে উইকেট পান জিসান জামির ও আহমেদ খান। বাংলাদেশের অন্য দুই ব্যাটার রানআউটে কাটা পড়েন।