নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদের ছুটির আমেজ এখনো শেষ হয়নি। মুশফিকুর রহিম বগুড়ায় ঈদ করে দ্রুতই ফিরেছেন ঢাকায়। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিজের মতো ঝালিয়েও নিয়েছেন ‘ফিনিশার’ হিসেবে নতুন করে নিজেকে চেনানো অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার।
আয়ারল্যান্ড সফর সামনে রেখে আগামীকাল থেকে সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প। ক্রিকেটাররা আজ সন্ধ্যায় চলে যাবেন সেখানে। মুশফিক অবশ্য সিলেটের ক্যাম্পের আগেই অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। মুশফিকের সঙ্গে লিটন দাসও দুর্দান্ত ছন্দে থাকায় নুরুল হাসান সোহানকে আপাতত সাদা বলে বিবেচনা করছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। অথচ ১০ মাস আগেই টি-টোয়েন্টিতে সোহানের মধ্যে নেতৃত্বগুণ দেখেছিল বিসিবি। গত জুলাইয়ে তাঁর নেতৃত্বেই জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধারাবাহিক সুযোগও পেয়েছেন। কয়েক মাসের মধ্যেই সোহানের সামনে অন্য বাস্তবতা। তাঁর বাদ পড়া নিয়ে বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন গতকাল বলছিলেন, ‘সর্বশেষ দুটি সিরিজে মুশফিক-লিটন ফিরে এসেছে। তৃতীয় কিপার হিসেবে ওখানে সোহানের জায়গাটা হয়নি। তাকে একটা সময় লিডারশিপ গ্রুপে রাখা হলেও দলে দুজন কিপার তো আছে। তার মানে এই নয় যে তার প্রয়োজনীয়তা আর নেই। এখন দলের কী প্রয়োজন, সেটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’
সোহান-আফিফের চেয়ে পথটা বেশি কঠিন হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহর। বিশ্রামের আড়ালে সাদা বলে ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের ভবিষ্যতের পাশে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে গেছে কি না—এমন একটা বিষয় সামনে চলে এসেছে। ছয় মাস আগেও যাঁরা দলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, তাঁরা এখন ‘অপাঙ্ক্তেয়’ হয়ে গেলেও কদিন আগে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছিলেন, সুযোগ কারও শেষ হচ্ছে না, ‘এশিয়া কাপের আগেই বিশ্বকাপের দলটা করে ফেলব। এর আগে আমরা খেলোয়াড়দের সব পারফরম্যান্স বিবেচনা করব। কাউকে চোখের আড়াল করা হবে না।’ আরেক নির্বাচক সুমন বললেন, ‘যে নামগুলো বললেন, তাদের সমীকরণ শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট ফরম্যাটে টিম ম্যানেজমেন্টের ফর্মুলায় কে সেট হয়, এসব বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত হয়।’
যেহেতু জাতীয় দলের দুয়ার আপাতত বন্ধ, মাহমুদউল্লাহ-সোহান-আফিফদের সব মনোযোগ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। একই সময়ে তামিমদের ভাবনায় আগামী মাসের আয়ারল্যান্ড সিরিজ। সেটি সামনে রেখে আজ দলের সবার গন্তব্য সিলেট হলেও সাকিব আল হাসান থাকছেন না এই প্রস্তুতি ক্যাম্পে। গত রোববার ভোররাতে আমেরিকায় পরিবারের কাছে গেছেন তিনি।