ওয়ানডে ও টেস্টের প্রথম ম্যাচেই ম্যাচ-সেরা হওয়া বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু এ দুই সংস্করণের প্রথম ম্যাচে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি জুটলেও নিজের পছন্দের সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে পুরস্কারটি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৯২ ম্যাচ পর্যন্ত।
এ মাসেই ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ম্যাচ-সেরার পুরস্কার পান মোস্তাফিজ। প্রথম পুরস্কার পেতে ১০০ ছুঁই ছুঁই ম্যাচ অপেক্ষা করতে হলেও দ্বিতীয়টি পেতে মাত্র ৪ ম্যাচ অপেক্ষা করতে হয়েছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচে ১০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি পান বাঁহাতি পেসার।
শুধু ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতিই পাননি মোস্তাফিজ, বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজ-সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার। এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ে গতকাল বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার এখন তাঁর।
আগের রেকর্ডটি ছিল ইলিয়াস সানির। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশের হয়ে সেরা হলেও বৈশ্বিকভাবে মোস্তাফিজের বোলিং ইনিংসটি যৌথভাবে ষষ্ঠ। তাঁর মতো ১০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন নামিবিয়ার বাঁহাতি স্পিনার জোনাথান স্মিথও। আর ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন মালয়েশিয়ার মিডিয়াম পেসার সিয়াজরুল ইদ্রুস।
বিশ্বকাপের আগে এমন বোলিং করতে পারায় ভীষণ খুশি মোস্তাফিজ। সরাসরি না বললেও সিরিজ হারের আক্ষেপ রয়েছে তাঁর। ম্যাচ ও সিরিজ-সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় ২৮ বছর বয়সী পেসার বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সব মিলিয়ে খুব ভালো হয়েছে। বোলিংয়ে ভেরিয়েশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি আমরা ভেরিয়েশনটা আরেকটু বেশি করতাম, আমাদের জন্য (সিরিজটা) খুব ভালো হতো। তবে ম্যাচ ও সিরিজ-সেরার পুরস্কার পাওয়ায় অনেক ভালো লাগছে।’