মোহাম্মদ রিজওয়ানকে চাইলে ‘লাকি চার্ম’ বলাই যায়। পাকিস্তানি এই ব্যাটার এ বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে যে টুর্নামেন্টেই খেলেছেন, তারপর সেই দল শুধু জয়েরই স্বাদ পেয়েছে। বিপিএলের পর কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগেও দেখা গেছে একই ঘটনা।
২০২৩ বিপিএলে রিজওয়ান খেলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। প্রথম তিন ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করে কুমিল্লা। টুর্নামেন্টে দলের চতুর্থ ম্যাচে যোগ দিয়েছেন রিজওয়ান। পাকিস্তানি এই ব্যাটার খেলার পর থেকেই ভাগ্য বদলানো শুরু করে কুমিল্লা। টানা ৯ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থেকে পরের রাউন্ডে পৌঁছায় ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। এরপর প্রথম কোয়ালিফায়ার জিতে সরাসরি ফাইনালে পৌঁছায় তারা। আর ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে শিরোপা জেতে কুমিল্লা। বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। টুর্নামেন্টে পাল্লা দিয়ে রানও করেছেন রিজওয়ান। কুমিল্লার হয়ে ১০ ম্যাচে করেছেন ৩৫১ রান। গড় ৫০.১০ ও স্ট্রাইক রেট ১২৬.২৫। চারটা ফিফটি করেছেন। টুর্নামেন্টে অষ্টম সর্বোচ্চ রান করেছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার।
কুমিল্লার পর এবার ভ্যাঙ্কুভার নাইটসের হয়ে খেলছেন রিজওয়ান। পাকিস্তানি এই ব্যাটারের গল্পটা এবার আরও মজার। ২৭ জুলাই কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে করেন ফিফটি। শ্রীলঙ্কার পর কানাডায় উড়াল দিয়েছেন রিজওয়ান। সংস্করণটাও বদলে টেস্ট থেকে হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি। ভ্যাঙ্কুভারে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ফিফটি করেছেন তিনি। ৪২ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। এক দিনের ব্যবধানে টেস্ট, টি-টোয়েন্টি দুটো ম্যাচেই ফিফটি করেছেন ও দুটোতেই রিজওয়ান ছিলেন জয়ী দলে।
ভ্যাঙ্কুভারেও রিজওয়ান যেমন রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে চলেছেন, তেমনি টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে জিতে চলেছে দলটি। ৩ ম্যাচ খেলেই গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় চারে উঠে এসেছেন রিজওয়ান। দুই ফিফটিতে ১৪৭ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১১৯.৫১। পাকিস্তানি এই ব্যাটারের গড়টাও ঈর্ষণীয় এবং তা হলো: ১৪৭। তিনি আসার পর চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে ভ্যাঙ্কুভার ও এক ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে উঠেছে ভ্যাঙ্কুভার।