এক অঙ্কের গণ্ডি পেরোনোই লিটন দাসের কাছে এখন অনেক কঠিন কাজ। এখন তাঁর কাঁধে আবার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব। অফফর্মের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা লিটন আউট হওয়ার ধরনও দৃষ্টিকটু।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন। প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাক মারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছেন ১০ বল। তবে সেন্ট ভিনসেন্টে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে করেছেন মাত্র ৩ রান। আকিল হোসেনের বল উইকেট থেকে অনেকটা বাইরে এসে খেলতে যান লিটন। সহজ স্টাম্পিং করার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক আন্দ্রে ফ্লেচার একটু মজাও করেছেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, ‘যখন আমি প্রথম বল মোকাবিলা করি, তখনই বুঝতে পেরেছি এই পিচে ব্যাটিং করা সহজ নয়।’
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের স্কোর একটা পর্যায়ে হয়েছে ১৬.১ ওভারে ৭ উইকেট ৮৮ রান। ওভারপ্রতি ৬ রান তোলাই যখন কঠিন, তখনই ওঠে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ঝড়। আট নম্বরে নেমে ১৭ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম। অষ্টম উইকেটে তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ২৩ বলে ৪১ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়তে অবদান রাখেন শামীম। তাতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট ১২৯ রান করতে পেরেছে। শামীমের প্রশংসা করে লিটন বলেন, ‘শামীমকে ধন্যবাদ। সে দারুণ ব্যাটিং করেছে।’
১৩০ রানের লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে কঠিন কিছু নয়। তবে বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে স্বস্তিতে ব্যাটিং করতে পারেনি উইন্ডিজ। ২৭ রানে হেরে এক ম্যাচ আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ক্যারিবীয়রা। তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, হাসান মাহমুদরা যখনই এসেছেন, তখনই উইকেট তুলে নিয়েছেন। লিটন বলেন,‘বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। যে-ই বোলিংয়ে আসুক, উইকেট এনে দিয়েছে। এটা একটা দলীয় প্রচেষ্টা। আমরা দারুণ ছন্দে আছি। এমন দারুণ ক্রিকেট আবারও উপহার দিতে চাই।’
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক লিটনের সময়টা ভালো যাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে লিটন বলেন,‘আমি খুবই খুশি। শুধু আমিই না, বাংলাদেশের সবাই। এমন জয়ের অপেক্ষায় ছিলাম সবাই।’