আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বপ্নের মতো শুরু হয়েছে মুহাম্মদ আব্বাসের। জন্মভূমি পাকিস্তানের বিপক্ষে তাণ্ডব চালিয়ে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। সেই রেকর্ড গড়ার পর কী ঘটেছিল, সেটাই জানালেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার।
নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়েই নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে পথচলা শুরু হয়েছে আব্বাসের। ছয় নম্বরে নেমে খেলেছেন ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস। ২৪ বলে ফিফটি করে ওয়ানডে অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটা নিজের করে নেন তিনি। রেকর্ড গড়ার পরের মুহূর্তটা নিয়ে এরপর কথা বলেছেন আব্বাস। নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার বলেন, ‘আমার ফোন বেজেই চলছিল। হাজার হাজার নোটিফিকেশন এসেছে। যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান থেকে পেয়েছি।’
২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৬ বলে ফিফটি করেছিলেন। নেপিয়ারে গতকাল ২৪ বলে ফিফটি করে চার বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন আব্বাস। রেকর্ড গড়েও যেন সেটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। আব্বাস বলেন, ‘আমার সত্যিই ধারণা ছিল না। কেউ আমাকে বলেছিলেন। তবে জানি না তিনি কে ছিলেন। আমি এখনো এটা বিশ্বাস করতে পারছি না যে এমনটা হয়েছে।’
লাহোরে জন্ম নেওয়া আব্বাসের বাবা আজহার আব্বাস হারাজও ছিলেন একজন ক্রিকেটার। পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক না হলেও প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন আজহার। পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড দুই দেশেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন আজহার। বর্তমানে তিনি ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডসের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করছেন।
মুহাম্মদ আব্বাসের পর ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডে যৌথভাবে দুইয়ে ক্রুনাল পান্ডিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যালিক অ্যাথানাজ। ২০২৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২৬ বলে ফিফটি করেছিলেন অ্যাথানাজ।
আরও পড়ুন:
পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘পাকিস্তানি’র তাণ্ডব দেখে কী বললেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার