ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যানচেস্টার থেকে কলম্বো—মাঝে কেটে গেছে চার বছর। মাঝের চার বছরে
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি কুলদীপ যাদবের। তা ছাড়া পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আইপিএল না খেলায় তাঁদের (পাকিস্তানি ক্রিকেটার) শক্তি, দুর্বলতা বোঝাটা কুলদীপের জন্য কিছুটা কঠিনই বটে। আর সেই কুলদীপের ঘূর্ণিতেই গতকাল পাকিস্তান রীতিমতো নাকাল হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে কলম্বোর প্রেমাদাসায় এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচ হয়েছিল রিজার্ভ ডেতে। গতকাল সেই রিজার্ভ ডেতে ৩৫৭ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই হাঁসফাঁস করতে থাকে পাকিস্তান। কুলদীপ এসে পাকিস্তানের ইনিংসে মড়ক লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ করেন। পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানকে বোল্ড করে শুরু। এরপর একে একে আগা সালমান, শাদাব খান, ইফতিখার আহমেদকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দিয়েছেন। আর ফাহিম আশরাফকে বোল্ড করে বাবর আজমের দলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন। ৮ ওভার বোলিং করে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
পাকিস্তানের বিপক্ষে গতকাল ৫ উইকেট নিয়ে পাঁচ বছর পর ওয়ানডেতে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ। এই ৫ উইকেটের ৪ উইকেটই পাকিস্তান হারিয়েছে লেগ সাইডে শট করতে গিয়ে। ফখর, সালমান, শাদাব, ইফতিখার প্রত্যেকেই মিড উইকেট, স্কয়ার লেগ, লং অন এলাকা দিয়ে খেলতে গিয়ে উইকেট হারিয়েছেন। পাকিস্তানের এই লেগ সাইডে খেলার শক্তি ২০১৯ বিশ্বকাপেই বুঝতে পেরেছিলেন কুলদীপ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতীয় বাঁহাতি স্পিন বোলার বলেন, ‘টেস্ট বা ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পাওয়া সত্যিই বিশেষ কিছু। আমি তাদের (পাকিস্তান) বিপক্ষে ২০১৯ সালে খেলেছি এবং তাদের শক্তির কথা আমার জানা। আর আমি আমার শক্তির জায়গা থেকে বোলিং করেছি। উইকেট টু উইকেট বোলিং করেছি। ভালো দল সুইপ, স্লগ সুইপ করার চেষ্টা করে। এভাবেই তারা আমাকে উইকেট পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল।’
দুর্দান্ত বোলিংয়ে গতকাল ভারতীয় স্পিনারদের মধ্যে সেরা তিনে জায়গা করে নিয়েছেন কুলদীপ। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ভারতীয় স্পিনার হিসেবে এক ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেন আর্শাদ আইয়ুব। এরপর ২০০৫ সালে কোচিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার।