১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারের তেতো স্বাদ বাংলাদেশ পেয়েছিল কদিন আগেই। সেন্ট কিটসে গতকাল বাংলাদেশের সেই ক্ষতটা আরও একটু বাড়ল।সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে হেরে বাংলাদেশ হয়েছে ধবলধোলাই। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ধরতে পেরেছেন দলের রোগ।
৪ ফিফটিতে গতকাল তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে করেছে ৫ উইকেটে ৩২১ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সৌম্য সরকার, মিরাজ ও জাকের আলী অনিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৭, ৭৩ ও ৬২ রান। তবে ৩২২ রানের লক্ষ্যও যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে অনেক কম মনে হয়েছে। ২৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে ক্যারিবীয়রা। মিডল ওভারে উইকেট নিতে না পারার পুরোনো রোগটা যে এই ম্যাচে আবারও দেখা দিয়েছে, সেটা মিরাজের কথায় বোঝা গেছে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের বোলারদের জন্য দিনটি খুবই কঠিন ছিল। তবে আমাদের ব্যাটাররা ভালো করেছে। সৌম্য, জাকের এবং মাহমুদউল্লাহ—সবাই ভালো ব্যাট করেছে। আমরা জুটি গড়তে পেরেছি। কিন্তু বোলিংয়ে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট নিতে পারিনি, যা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা।’
নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত না থাকায় মিরাজকে ওয়ানডে সিরিজেও করতে হয়েছে অধিনায়কত্ব। মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানের মতো তারকারাও ছিলেন না এই সিরিজে। তারকাদের না থাকার অভাবটা এই সিরিজে বুঝতে পেরেছেন মিরাজ, ‘এই সিরিজে আমরা কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়কে মিস করেছি। আমাকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং চার নম্বরে ব্যাট করতে হবে।’
তানজিদ হাসান তামিম তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে করেছেন ১০৬ রান। যার মধ্যে প্রথম দুই ওয়ানডেতে দারুণ শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। গতকাল আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এছাড়া বোলিংয়ে হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেনরা যে কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেননি, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের একপেশে সিরিজ জয় দেখে বোঝা যাচ্ছে। মিরাজ বলেন, ‘এই সিরিজে তরুণদের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা সেটা করতে পারেনি।’