বড় ইনিংস খেলা তো দূরে থাক, লিটন দাসের জন্য এখন এক অঙ্কের গণ্ডি পেরোনোই বিশাল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর এক অঙ্কের ঘরে আউট হওয়া খুব পরিচিত দৃশ্য। কখনো কখনো বিদায় নিচ্ছেন রানের খাতা খোলার আগেই।
রানখরায় ভুগতে থাকা লিটন এরই মধ্যে গড়েছেন বিশেষ এক রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষকদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচ ডিসমিসাল করেছেন তিনি। সেন্ট ভিনসেন্টে আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন কীর্তি গড়েছেন লিটন। তাতে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিকুর রহিমকে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ডিসমিসাল করেছিলেন মুশফিক। বিশ্বকাপের সেই বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ভেন্যু ছিল জোহানেসবার্গ। ১টি ক্যাচের পাশাপাশি স্ট্যাম্পিং করেছেন ২টি।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লিটন মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। অধিনায়কত্বের চাপ বা সাম্প্রতিক অফফর্মের চাপেই হয়তো এমনটা হয়েছে। তবে উইকেটের পিছনে ছিলেন দুর্দান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০ উইকেটের মধ্যে অর্ধেকেই অবদান তাঁর। ৪টি ক্যাচ ধরেছেন এবং একটি স্ট্যাম্পিং করেছেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষকদের মধ্যে দুইয়ে শুধু মুশফিক একাই নন। নুরুল হাসান সোহান এক ম্যাচে তিনটি করে ডিসমিসালের কীর্তি গড়েছেন দুইবার করে। দুটিই তিনি করেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। লিটনেরও এক ম্যাচে তিনটি ডিসমিসালের কীর্তি রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে গত বছর উইকেটরক্ষক হিসেবে তিনটি ক্যাচ ধরেন লিটন।