নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের উইকেট বরাবরই ধীরগতির। পেসারদের দাপট খুব কমই দেখা যায়। স্পিন মঞ্চে কখনো কখনো ঝড় তোলেন পেসাররা। তবে সেটা বাংলাদেশের নয়, প্রতিপক্ষ পেসারদের কথাই বলা হচ্ছে। এই যেমন চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের শেষের নায়ক তিনিই।
চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট স্পিন-নির্ভর না হলেও কিছুটা ভালো ছিল। ব্যাটার ও বোলার দুই পক্ষের সামনেই সুযোগ এসেছে। ব্যবধান গড়ে দিয়েছে আবিদ আলীর রাজসিক পারফরম্যান্স ও আফ্রিদির নৈপুণ্য। আজ থেকে শুরু হওয়া মিরপুর টেস্টে দুজনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে পাকিস্তান। আর তাঁদের চোখ উইকেটে। কেমন হবে এই টেস্টের উইকেট?
উইকেট যেমনই হোক, একটু কৌশলী হলেই মিরপুরের উইকেট থেকে মিলতে পারে সাফল্য। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সাংবাদ সম্মেলনে সেই মন্ত্রটা বলে দিলেন আফ্রিদি, ‘এশিয়ার সব উইকেট কম-বেশি ধীরগতির। লোকে বলে, স্পিনারদের সহায়তা বেশি থাকে। কিন্তু শক্তপোক্ত হলে এবং গায়ে জোর থাকলে এখানেও কার্যকর হওয়া যায়। জুটি বেঁধে বল করতে হয়। হাসানেরও এখানে কৃতিত্ব আছে।’
এ বছর পাকিস্তানের টেস্টে বোলিং ইউনিটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই দুই পেসার। তাঁদের ব্যক্তিগত সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুফল পাচ্ছে পাকিস্তান। এই পঞ্জিকাবর্ষে ৩৯ উইকেট পেয়েছেন হাসান আলী। পাঁচটি বেশি আফ্রিদিরি। ভারতের অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে তিনি এখন পর্যন্ত যৌথভাবে সর্বোচ্চ শিকারি।
চট্টগ্রাম টেস্টে হাসান ও আফ্রিদি দুজনই নিয়েছেন সমান ৭ উইকেট। প্রথম ইনিংসে হাসান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান আফ্রিদি। সতীর্থদের সঙ্গে এই লড়াই বেশ উপভোগ করছেন বাঁ-হাতি পেসার। এই টেস্টেও হাসানকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করার আশায় আছেন আফ্রিদি।
আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘হাসানের সঙ্গে বোলিংটা আমি উপভোগ করি। আমরা জুটি বেঁধে বোলিং করি এবং নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করি, কীভাবে ব্যাটসম্যানকে আটকানো বা দ্বিধায় ফেলা যায়। আমার কাছে স্পেল যে কয় ওভারেই হোক, আগ্রাসী বোলিং করতে চাই। এভাবেই সাফল্য ধরা দিচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টেও আমরা আগের টেস্টের মতো পারফর্ম করতে চাই।’
আফ্রিদির স্বপ্ন কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের মতো নামকরা বোলার হওয়া। সেটা অবশ্য আলোকবর্ষ দূরের পথ। আপাতত মিরপুর টেস্টেই নজর দিচ্ছেন আফ্রিদি। বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করতে চান তাঁরা। বাঁ-হাতি পেসার বলেছেন, ‘ছেলেরা প্রস্তুত দ্বিতীয় টেস্টের জন্য। অবশ্যই লড়াই করব এবং ভালোভাবে শেষ করার চেষ্টা থাকবে। এখান থেকে সিরিজ জিতে (দেশে) ফিরতে চাই।’