মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে কোথাও স্বাচ্ছন্দ্যে নেই পাকিস্তান ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ার পর সমালোচনার তিরে ক্রমাগত বিদ্ধ হচ্ছেন তাঁরা। একটু ছুতো পেলেই বাবর আজম, হারিস রউফদের ধুয়ে দিচ্ছেন পাকিস্তানের সমর্থকেরা।
এই যেমন এখন বাবরদের সমালোচনা হচ্ছে বিশ্বকাপের দেশে পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ সফরে পাকিস্তান দলের কিছু ক্রিকেটার পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যায়। এতে ক্রিকেটারদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে সমালোচনা করা হচ্ছে ক্রিকেটারদের। পাকিস্তানের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দলের ৩৪ জন ক্রিকেটার-কর্মী ছাড়াও ক্রিকেটারদের পরিবারের ২৬-২৮ জন সদস্যের অবস্থান ছিল টিম হোটেলেই। দলের ক্রিকেটাররা যে হোটেলে থাকতেন, সেখানে ৬০টি রুম ভাড়া করা হয়। ফলে হোটেলে বাইরের লোকদেরও যাতায়াত ছিল। ক্রিকেটাররা পরিবার নিয়ে নৈশভোজে কিংবা বাইরে ঘুরতে যাওয়াটাকে রীতিমতো নিয়ম বানিয়ে ফেলেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের তথ্য, বাবর আজম, হারিস রউফ, শাদাব খান, ফখর জামানের ও মোহাম্মদ আমিরের মতো ক্রিকেটাররা সফরে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের এমন জমায়েতের সম্মতি দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন অনেকেই। এই ‘অনেকের’ মধ্যে আছেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেট কিপার ব্যাটার আতিকুজ্জামান, ‘বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের খেলায় মনোযোগ রাখতে পরিবারদের সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। ক্রিকেটারদের সঙ্গে যখন পরিবার থাকে, তখন ক্রিকেট থেকে তাদের সময় এবং মনোযোগ সরে যায়।’