এক সিরিজ আছেন তো আরেক সিরিজে নেই—তাইজুল ইসলামের অবস্থাটা ঠিক এমনই। তবে যখনই সুযোগ পান, তখনই তাঁর সেরাটা দিয়ে খেলেন তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনের জাদুতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের পরীক্ষায় ফেলেন তিনি। বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথও তাঁর (তাইজুল) বোলিংয়ে মুগ্ধ।
চোটে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে সাকিব আল হাসানকে টেস্টে গত কয়েক বছর একটু কমই দেখা যায়। এবারও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খেলছেন না তিনি। সাকিব না খেললেও বাঁহাতি স্পিনারের দায়িত্বটা ঠিকমতো পালন করছেন তাইজুল। সিলেটে আজ বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নিউজিল্যান্ডের পড়েছে ৮ উইকেট। টম লাথাম, ড্যারিল মিচেল, কেন উইলিয়ামসন, ইশ সোধি—নিউজিল্যান্ডের এই ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল।
সাকিবসহ, সাকিব ছাড়া—পরিসংখ্যান বলছে, দুই ক্ষেত্রেই তাইজুলের পারফরম্যান্সে তেমন একটা পার্থক্য নেই। সাকিবসহ ২৪ টেস্টে ৯৩ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তখন ইনিংসে ৫ উইকেট তাইজুল নিয়েছেন ৪ বার। বোলিং গড় তখন ৩২.১৬। অন্যদিকে সাকিব ছাড়া তাইজুল যে ১৯ টেস্ট খেলেছেন, তাতে তিনি (তাইজুল) ৮৮ উইকেট নিয়েছেন। তখন তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৭৩। ইনিংসে ৫ উইকেট তখন ৭ বার এবং ১ বার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। হেরাথের কথাতেও যেন এই পরিসংখ্যানের ব্যাপারটা ফুটে উঠেছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ বলেন, ‘সাকিব খেলছে না, তবে তাইজুল দারুণ পারফর্ম করছে। একই সঙ্গে সে (তাইজুল) আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক। সে সব সময় লাইন-লেন্থের ওপর নির্ভর করে। সেটাই ধরে রাখতে হবে। তাইজুল আমাদের প্রধান স্পিনার। অনেক দিন ধরে সে আমাদের জন্য লড়ছে। সে চাপ সৃষ্টি করে, ভালো করতে মরিয়া থাকে। এভাবেই আজ ৪ উইকেট পেয়েছে। উইকেট অনুযায়ী বল করে। আমি তার বোলিং নিয়ে খুশি।’
মূল তিন স্পিনার নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুলের সঙ্গে খণ্ডকালীন স্পিনার মুমিনুল হকও আজ বোলিং করেছেন। চার স্পিনার মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। একমাত্র পেসার হিসেবে খেলা শরীফুল নিয়েছেন ১ উইকেট। স্পিনারদের প্রশংসা করে হেরাথ বলেন, ‘সব মিলিয়ে স্পিনাররা ভালোই করেছে। তবে আমরা আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারতাম। আমরা ৮ উইকেট শিকার করেছি, সে হিসাবে দিনটা ভালোই।’