ক্রীড়া ডেস্ক
পেসার তৈরির দেশ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে পাকিস্তানের। বিশ্ব ক্রিকেটে আলো ছড়িয়েছেন এমন পেসারদের তালিকা করলে নিঃসন্দেহে পাকিস্তান দলের পেসাররা সামনের সারিতে থাকবেন। তবে অন্যদের মতো শুধু উজ্জ্বল পারফরম্যান্সই করেন না পাকিস্তানের পেসাররা, ব্যাটারদের বুকে কাঁপুনি ধরান।
এশিয়া কাপে যেমন ব্যাটারদের যম হয়ে দাঁড়িয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি–হারিস রউফ–নাসিম শাহরা। পাকিস্তানের দুর্দান্ত পেস অ্যাটাকের সামনে প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারছেন না। উত্তরসূরিদের এমন পারফরম্যান্সে তাই যারপরনাই মুগ্ধ শোয়েব আখতার। এই পেস ত্রয়ী পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার।
পাকিস্তানের সাবেক দুই পেসার ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস তাঁদের সময় যে আধিপত্য দেখিয়েছেন তার সঙ্গে তুলনা করেছেন শোয়েব। স্টার স্পোর্টসের অনলাইন আড্ডায় ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত পেসার বলেছেন, ‘এই পেস আক্রমণ আমাকে পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। দুই ডব্লিউর (ওয়াকার ও ওয়াসিম) যুগকে। তারা খুবই আত্মবিশ্বাসী এবং উইকেট নেওয়ার মানসিকতা আছে তাদের।’
একসঙ্গে ৯০০ টির বেশি উইকেট নিয়েছেন ওয়াসিম–ওয়াকার। গতি, সুইং দিয়ে দুজনে মিলে যখন রাজত্ব করছিলেন ২২ গজে তখন ঠিক তার কিছুদিন পরে তাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন শোয়েবও। পরে গতিকে নিয়ে যান অন্য মাত্রায়। বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির বলটিও তাঁর হাত থেকেই বেরিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে তাঁদের মতোই এখন রাজত্ব করেছেন শাহিন–হারিস–নাসিমরা। ইতিমধ্যে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে পেস ত্রয়ী ২৩ উইকেট নিয়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেট নেওয়ার আগে ভারতের বিপক্ষে রেকর্ড গড়েন তাঁরা। এশিয়া কাপে কোনো দলের পেসাররা প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়ে।
পাকিস্তানের পেস ত্রয়ীর প্রশংসাও করেছেন শোয়েব। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে ৪৪৪ উইকেটের মালিক বলেছেন, ‘এই তরুণেরা খুবই মেধাবী। পাকিস্তান আবারও এমন পেস বোলার তুলে আনায় আমি খুশি।’