ক্রীড়া ডেস্ক
আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ওঠা ভারতের জন্য নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—গত এক বছরে তিনটি আইসিসি ইভেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে ভারত। এশিয়ার দলটির জন্য এবার ১১ বছরের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট জয়ের আক্ষেপ ঘোচানোর মিশন।
অ্যাডিলেডে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচটা ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। কাকতালীয়ভাবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ড। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে গত রাতে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়ে মধুর ‘প্রতিশোধ’ নিল ভারত। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটি দলই এবারের বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত অপরাজিত। তবে ফাইনালের চেয়ে অক্ষর প্যাটেল ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিয়ে উদযাপন করাটাই গুরুত্ব দিচ্ছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ভারতীয় বাঁহাতি স্পিনার বলেন, ‘বার্বাডোজ নিয়ে এখনই ভাবছি না। ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার নিয়ে উদযাপন করব।’
১৭২ রানের লক্ষ্য গায়ানার মাঠে যতটা কঠিন হোক, ইংল্যান্ডের বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইন আপের জন্য তা একেবারে অসম্ভব নয়। সেই লক্ষ্যে প্রথম ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংলিশরা করেছে ২৬ রান। চতুর্থ ওভারে অক্ষর বোলিংয়ে আসার পরই ইংল্যান্ডের খেই হারানো শুরু। ওভারের প্রথম বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বাটলার ক্যাচ দেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্তের হাতে। ষষ্ঠ ও অষ্টম ওভারে জনি বেয়ারস্টো ও মঈন আলী দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে ফিরিয়ে অক্ষর ইংল্যান্ডের টুটি চেপে ধরেন শুরুতেই। ম্যাচ শেষে অক্ষর বলেন, ‘অতীতেও পাওয়ার প্লেতে বোলিং করেছি। পরিকল্পনা ছিল যে আমাকে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে হবে। উইকেট থেমে আসছিল আবার ধীর গতির হচ্ছিল। সেজন্য আমি সঠিক জায়গায় বোলিংয়ের চেষ্টা করেছি। ব্যাটাররা বলেছে যে উইকেটটা সহজ নয়। তাই ১৬০ আমাদের জন্য দারুণ লক্ষ্য।’