ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে বাকি আর তিন সপ্তাহ। প্রচার-প্রচারণা অনেক আগে থেকেই শুরু করেছে আইসিসি। সময় যত ঘনিয়ে আসছে, টুর্নামেন্টের আলাদা একটা আবহ তৈরির চেষ্টা ক্রিকেটে নিয়ন্ত্রক সংস্থার। আয়োজক দেশ পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে এরই মধ্যে স্মৃতিচারণ শুরু করেছে তারা। শাদাব খান-শাহিন শাহ আফ্রিদিরা স্মৃতিচারণ করছেন ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির।
ফিট থাকলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিঃসন্দেহে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন শাহিন শাহ। গতবার পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হলেও শাহিনের তখনো জাতীয় দলে অভিষেক হয়নি। তবে মাঠে না থেকেও টিভিতে খেলা দেখেছেন এই বাঁহাতি পেসার। এবারও শিরোপা উঁচিয়ে ধরার কথা বললেন শাহিন, ‘২০১৭ সালে আমি পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলছিলাম। ফাইনাল ম্যাচ টিভিতে দেখেছিলাম। এটা আমাদের সবার, আমাদের দেশের জন্য খুবই বিশেষ এক অনুভূতি ছিল। আমি চাই ফাইনালের ওই সাদা কোটটা আমরা আবার পরি।’
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছিলেন ওপেনার ফখর জামান। অসাধারণ বোলিং করেছিলেন মোহাম্মদ আমির ও হাসান আলি। শাহিনের কাছে টিভিতে দেখা পাকিস্তান দলের সেই পারফরম্যান্স অবিস্মরণীয়, ‘আমি ফখর জামানের ওই ইনিংসকে ভুলতে পারি না। পুরো ম্যাচকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল ওই ইনিংস। মোহাম্মদ আমিরের ওই স্পেল। সব প্লেয়ার নিজেদের জায়গা থেকে জয়ে অবদান রেখেছিল।’
শাহিনের কাছে ফখর ও আমিরের পারফরম্যান্স ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়া, ‘কিন্তু যে দুজন (ফখর-আমির) মূল পারফরম্যান্স করেছিল, সেটা আমি কখনোই ভুলতে পারব না। আমার মনে হয়, সব মিলিয়ে এটা দলগত নৈপুণ্য ছিল এবং এই নৈপুণ্য আরও একবার দরকার হবে সেই মুহূর্তগুলো ফিরিয়ে আনতে। আমরা চেষ্টা করব সেটাই করতে এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানেই রেখে দিতে।’
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। ভারতের ম্যাচগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বাকি সব ম্যাচ পাকিস্তানের করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডিতে হবে। করাচিতে উদ্বোধনী ম্যাচেই পাকিস্তান খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।