২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনালের পর ব্যস্ত সময় পার করছে ভারত। তবে সেই ফাইনালে ভারতের স্বপ্নভঙ্গের পর মোহাম্মদ শামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি খেলেছেন কেবল ৪ ম্যাচ। এই সময়ে যে তাঁকে লড়তে হয়েছে চোটের সঙ্গে।
বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ৩টায় দুবাইয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত। দুই দলই তাদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু করছে এই ম্যাচ দিয়ে। এই ম্যাচের আগের রাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কথা বলেছেন শামি। ৩৪ বছর বয়সী ভারতীয় পেসার স্মরণ করেছেন তাঁর সেই দুঃসময়ের কথা। আইসিসিকে তিনি বলেন, ‘দারুণ এক বিশ্বকাপ শেষে নিজেকে আমি খুঁজে পাই অপারেশন টেবিলে। দারুণ ফর্মে থাকার পর চোটে পড়াটা সত্যিই অনেক কঠিন। ডাক্তারের কাছে আমার প্রথম প্রশ্ন ছিল, মাঠে ফিরতে কত দিন সময় লাগবে? তিনি প্রথমে হাঁটার চিন্তা করতে বললেন। তারপর ধীরে ধীরে জগিং ও দৌঁড়ানো নিয়ে ভাবতে বলেছেন। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে খেলার চিন্তা দূরে রাখতে বলেছিলেন।’
আহমেদাবাদের সেই ফাইনালের পর গোড়ালির চোটে পড়েন শামি। ভারতীয় এই পেসার ২০২৪ সালে লন্ডনে অস্ত্রোপচারও করিয়েছিলেন। তাতে তৎক্ষণাৎ কোনো লাভ হয়নি। গত বছর আইপিএল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুটিই তিনি মিস করেন। মাঝে মাঝে তাঁর মাঠে ফেরার কথা শোনা গেলেও সেটা আর সম্ভব হয়নি। ১৪ মাস পর এ বছরের জানুয়ারিতে রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হয়েছে প্রত্যাবর্তন।
মাঠে কবে ফিরবেন—চোটে পড়া অবস্থায় এই দুশ্চিন্তা সব সময় কাজ করত শামির। পুরোনো দিনের কথা মনে করে ভারতীয় এই পেসার বলেন, ‘কবে মাঠে আমার পা রাখতে পারব—সব সময় এটা ভেবেই অস্থির হতাম। যে কি না নিয়মিত মাঠে দৌঁড়াতো, তাকে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। নানারকম দুশ্চিন্তা আমার কাজ করত। আমি কি আবার ফিরতে পারব? ক্রাচ ছাড়া হাঁটতে পারব?’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। এখন পর্যন্ত ১০৩ ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট ১৯৭। কদিন আগে ইমরুল কায়েস ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই ভিডিওসকে শামিকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘শামির দলে আসাটা অনেক বড় কিছু। সে হয়তো তার ফিটনেস নিয়ে সংগ্রাম করছে। তবে সে যদি ছন্দ ফিরে পায়, তাহলে বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হতে পারে।’ আইসিসি ইভেন্টে শামির পরিসংখ্যান দেখেই হয়তো ইমরুল এমনটা বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: