বাংলাদেশ দলের হয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচেই উইকেটশূন্য থাকেননি তাসকিন আহমেদ। তাঁর পারফরম্যান্সে সতীর্থরাও তাসকিনকে এখন বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটের ‘নেতা’ মানছেন। এর প্রমাণ গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও দিয়েছেন তিনি। ম্যাচে তাসকিন ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
তাসকিন অবশ্য ওই দুই ওভারে খেলার মোড় ঘুরে গেছে বলতে নারাজ। চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, শেষ ওভার পর্যন্ত চিন্তামুক্ত ছিলেন না তাঁরা। তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটে বল সুন্দর আসছিল। শেষ ওভার পর্যন্ত স্থির ছিলাম না। কারণ, ক্রিকেট খেলায় যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। কন্ডিশন, পরিস্থিতি বুঝে বোলিং করার চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশ এই ম্যাচেও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে। চণ্ডিকা হাথুরুসিংহের এই আক্রমণাত্মক মন্ত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন সাকিবরা। তাসকিন বললেন, ‘আমাদের ভয়ডরহীন খেলার কথা বলা হয়েছে, যাতে আমরা খেলার মধ্যে কোনো কিছু করতে দ্বিধাগ্রস্ত না হই। ম্যানেজমেন্ট থেকেও স্বাধীনতা ও সমর্থন দেওয়া হচ্ছে, যাতে সবাই সংকোচহীন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারি।’
হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন বাংলাদেশের খেলার ধরনসহ অনেক কিছুতেই এসেছে পরিবর্তন। তাসকিন বললেন, প্রতিদিন একটা প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছেন তাঁরা, ‘আমরা প্রক্রিয়া অনুযায়ী উন্নতি করার চেষ্টা করছি। যেকোনো ফরম্যাটে আমাদের ভুল শোধরানোর চেষ্টা করছি। প্রসেসটা খুব ভালো হচ্ছে, আমরাও শিখতে আগ্রহী।’
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে পরিবর্তন এনেছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তাসকিনের চোখে বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন, হাসান মাহমুদের মতো তাঁর তরুণ সতীর্থ লক্ষ্য স্থির করেছেন ক্যারিয়ার শেষে ৫০০ উইকেট দেখতে চান নামের পাশে।
ভালো খেলার তাড়না বাড়ায় স্বাস্থ্যকর এক প্রতিযোগিতা হচ্ছে সবার মধ্যে। তাসকিন বললেন, ‘সবাই সবার দিক থেকে চিন্তা করছে। যদি ইউনিট হিসেবে সবাই বিশ্বমানের বোলার থাকি, এই ইউনিটকে সামলাতে একটু সমস্যাই হবে। বড় দলগুলোয় তিন-চারজন বিশ্বমানের পেসার থাকে। আমরা চাচ্ছি, আমাদেরও এমন হোক। যদি প্রসেসে থাকি, আশা করি এই স্বপ্নটাও আমাদের পূরণ হবে যে আমরা সবাই বিশ্বমানের।’
ভালো করার তাড়না থাকলেও হাসান-মোস্তাফিজ-ইবাদতরা নিজেদের প্রতিযোগী মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা নিজের সঙ্গে। নিজের আজকের রেকর্ড কাল আবারও ভাঙতে হবে। আমি চাই সবাই মিলে ভালো করতে। (হাসান) ১০ উইকেট পেলেও আমি খুশি।’