২৪১ রানের লক্ষ্য। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ রানে নির্ভর করা রীতিমতো কঠিন ব্যাপার হওয়ারই কথা। তবু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অসাধারণ কিছুর আশা নিয়ে বোলিং শুরু করে ভারতের বোলিং আক্রমণ। জসপ্রিত বুমরা-মোহাম্মদ শামিদের বোলিং তোপে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর এই চাপ বেশি সময় ধরে রাখতে পারেননি ভারতের বোলাররা। চতুর্থ উইকেটে ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেনের দারুণ ব্যাটিংয়ে শুরুর চাপ সামলে ওঠে অজিরা। ইতিমধ্যে জুটিতে দুজনে স্কোরে জমা করেছেন ১৪৫ রান। যার সৌজন্যে আরেকবার বিশ্বকাপ জয়ের আভাস দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
ওপেনার হেড তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চম সেঞ্চুরি। এক যুগ পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেঞ্চুরির দেখে পেলেন কোনো ব্যাটার। সর্বশেষ ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার মহেলা জয়াবর্ধনে। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি।
১০৭ রানে অপরাজিত আছেন হেড। তাঁর সঙ্গে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন লাবুশেনে। এ প্রতিবেদন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯২ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন আর ৪৯ রান।
কিন্তু ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট পেত ভারত। বুমরার প্রথম বল ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটের ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপ বিরাট কোহলির নাগাল দিয়ে বলে যায়। বল ধরার চেষ্টাই করেননি কোহলি। তবে শামির করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আর বাঁচতে রক্ষা পেলেন না ওয়ার্নার। ব্যাটের কানায় লেগে আবারও কোহলির কাছে যায় বল, এবার আর ভুল করেননি তিনি, ক্যাচ ধরে ওয়ার্নারকে ফেরালেন ৭ রানে।
৫ম ওভারে বুমরা ফেরালেন মিচেল মার্শকে। ১টি করে ছক্কা ও চারের বাউন্ডারিতে ১৫ রান করেন তিনি। ৭ম ওভারে স্টিভেন স্মিথের (৪) উইকেট হারিয়ে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে এরপর হেড ও লাবুশেনের সৌজন্যে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।