নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা যেন অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব সম্পত্তি। ফাইনালে উঠলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো একরকম অসম্ভব কাজ। কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল। তবে প্রোটিয়াদের সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেয় অজিরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯ রানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতল অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘হেক্সা মিশনে’ সফল হলো অজিরা।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ধীরগতির হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ২২ রান করে প্রোটিয়ারা। যেখানে দলীয় ১৭ রানে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে দেন ডারসি ব্রাউন। ১৭ বলে ১০ রান করে বিদায় নিয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার তাজমান ব্রিটজ। ব্রিটজের পর উইকেটে আসেন মারিজান ক্যাপ। দ্বিতীয় উইকেটে ক্যাপের সঙ্গে ২৪ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন লরা উলভার্ট। ক্যাপকে আউট করে জুটি ভাঙেন অ্যাশলে গার্ডনার। এরপর অধিনায়ক সুন লুস উইকেটে এসেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। লবিউলভার্টের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৫ বলে ২ রান করে রান আউট হয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। স্বাগতিকদের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৪ রান।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন উলভার্ট। চতুর্থ উইকেটে ক্লো ট্রায়নের সঙ্গে ৩৭ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। ফিফটি তুলে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার। যতক্ষণ এই জুটি ছিল, প্রোটিয়াদের প্রথম শিরোপা জয়ের আশা জ্বলজ্বল করছিল। তবে মেগান শুটের বলে উলভার্ট এলবিডব্লু হলে ভেঙে যায় এই জুটি। ৪৮ বলে ৬১ রান করেন প্রোটিয়া এই ওপেনার। এরপর আস্কিং রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আর এগোতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ৬ উইকেটে ১৩৭ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়া জিতে যায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করেছিল অজিরা। অজিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন বেথ মুনি। ৫৩ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে শবনিম ইসমাইল ও ক্যাপ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।