ক্রীড়া ডেস্ক
কোচদের চাকরি ‘মিউজিক্যাল চেয়ারের’ মতো—ফুটবলে মেজর কোনো টুর্নামেন্ট এলে এই কথা শোনা যায় বারবার। বিশেষ করে, দল ব্যর্থ হলে কোচদের চাকরি চলে যায় দ্রুতই। হিউস্টনে আজ আর্জেন্টিনার কাছে হেরে কোপা আমেরিকার নকআউট পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর পদত্যাগ করেছেন ইকুয়েডর কোচ ফেলিক্স সানচেজ।
হিউস্টনের এন আর জি স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হয়েছে কোপা আমেরিকার নকআউট পর্ব। শেষ আটের ম্যাচটিতে সমানে সমানে লড়াই করলেও টাইব্রেকারে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ বীরত্বে জিতল আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের বিদায়ের পরই সানচেজের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ)। নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে এফইএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) আজ জানাচ্ছে যে টেকনিকাল ডিরেক্টর ফেলিক্স সানচেজ ব্যাসের সঙ্গে চুক্তি শেষ করার ব্যাপারে রাজি হওয়া গেছে। ফেলিক্স ও কোচিং স্টাফকে তাদের কাজ ও পেশাদারত্বের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে তাদের সফলতার জন্য শুভকামনা জানাই।’
২০২৩–এর মার্চে ইকুয়েডরের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সানচেজ। চার বছরের চুক্তি থাকলেও ১৬ মাসেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় ইকুয়েডরের। লাতিন আমেরিকার দলটি এই সময়ে তাঁর অধীনে ১৯ ম্যাচ জিতেছে ১০টি। হেরেছে ৬টি ও ড্র করেছে ৩টি। হিউস্টনে আজ আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হলে পেনাল্টি শুটআউটে গড়ায়। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। যেখানে বাজপাখি খ্যাত এমিলিয়ানো মার্তিনেজ দুটি গোল বাঁচিয়ে আকাশি-নীলদের তুলেছেন কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে। ১৯৯৩ সালের পর সেমির কাছাকাছি গিয়েও যাওয়া হলো না ইকুয়েডরের।