ক্রীড়া ডেস্ক
তবে কি এটাই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের বড় কেলেঙ্কারি? ম্যানচেস্টার সিটিকে নিয়ে দুই ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও দ্য সান এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে পাঠকদের প্রতি। মধ্যপ্রাচ্যের অঢেল অর্থের বিনিয়োগে ইউরোপ ফুটবলে যে কটি ক্লাব জায়ান্ট হয়ে উঠেছে, এর একটি সিটি। ইংলিশ ক্লাবটির বিপক্ষে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আর্থিক নিয়ম লঙ্ঘনের ১১৫টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ প্রমাণ হলে বড় শাস্তি হতে পারে সিটিজেনদের।
২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার সিটির মালিকানা নেয় আবুধাবির ইউনাইটেড গ্রুপ। বিপুল অর্থ ঢেলে ইতিহাদে ঘটানো হয় তারকার সমাবেশ। তারা শাসনভার তুলে নেয় ইংলিশ ফুটবলের। মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকে ছয়টি লিগ জিতেছে ক্লাবটি। তবে বিতর্ক সব সময় সঙ্গী হয়ে ছিল তাদের। ২০২০ সালে সিটির বিরুদ্ধে আর্থিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ পায় উয়েফা। তবে সেবার উদ্ধার পেলেও এবার বেশ বেকায়দায় পড়েছে তারা।
গত চার বছরের তদন্তে সিটির বিরুদ্ধে রাজস্ব-সংক্রান্ত আর্থিক তথ্য, কোচ ও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের বিবরণ, উয়েফার নিয়ম লঙ্ঘন এবং প্রিমিয়ার লিগের তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগ এনেছে প্রিমিয়ার লিগ।
অভিযোগ প্রমাণ হলে সিটির পয়েন্ট কাটা যেতে পারে। এমনকি লিগে অবনমনও হতে পারে। বেশ কটি ইংলিশ ক্লাব সিটিকে বহিষ্কারেরও দাবি তুলেছে। কোচ পেপ গার্দিওলাকেও হারাতে পারে ক্লাবটি। দ্য সানের বরাতে ক্রীড়া মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, শাস্তির মুখে পড়ার আগে ইতিহাদ ছাড়তে পারেন গার্দিওলা। গত বছর যখন আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল সিটির বিরুদ্ধে তখন স্প্যানিশ কোচ বলেছিলেন, ‘যদি তারা মিথ্যা বলে, তবে পরের দিন থেকে এখানে থাকব না।’