ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: মাঠে কত কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। কঠিন পরিস্থিতি উতরেও গেছেন। দুর্দান্ত সব স্ট্রাইকারের গোল আটকে দিয়েছেন বিশ্বস্ত গ্লাভস জোড়া দিয়ে। কিন্তু পারলেন না করোনার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে চলে গেছেন বাবা। আজ সেই একই অদৃশ্য ক্ষতিকর অণুজীব কেড়ে নিল তাঁর ‘মা’কেও।
দুই সপ্তাহ আগে করোনায় আক্রান্ত হন অরিন্দমের মা অন্তরা ভট্টাচার্য। বাবাকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন। অরিন্দমের চেষ্টা ছিল, এবার কিছুতেই হারতে দেবেন না মাকে। মায়ের সেবায় তাই হাসপাতালেই ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন দুই সপ্তাহ। সিদ্ধান্ত নেন, খেলতে যাবেন না এএফসি কাপেও।
১৪ মে থেকে মালদ্বীপে এএফসি কাপের ‘ই’ গ্রুপে খেলার কথা ছিল অরিন্দমের দল এটিকে মোহনবাগানের। একই গ্রুপে ছিল বসুন্ধরা কিংস, মাজিয়া স্পোর্টসের মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সেরা গোলরক্ষক হিসেবে দলের প্রয়োজনে নিজেকে সরিয়ে নেন অরিন্দম। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্থগিত হয়ে গেছে এএফসি কাপ।
তবে মাঠের খেলা থেকে মন সরিয়ে মায়ের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় হলো না। বিশ্ব ‘মা’ দিবসের পর দিন আজ অরিন্দমকে এতিম করে চলে গেছেন মা অন্তরা ভট্টাচার্য। বয়স হয়েছিল তাঁর ৬২। মাকে হারিয়ে শোকার্ত অরিন্দম।
করোনা আঘাত হেনেছে মোহনবাগান দলেও। পরিবারসহ আক্রান্ত হয়েছেন দুই ফুটবলার- প্রবীর দাস ও শেখ সাহিল।