ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে দলের মালিকানা নিয়ে টালমাটাল অবস্থায় ছিল চেলসি। ফলে এই মৌসুমে রাহিম স্টার্লিং বাদে বড় কোনো তারকা ফুটবলারকে ভেড়াতে পারেননি দলে। দলটির টালমাটাল অবস্থার ছাপ পাওয়া যাচ্ছে মাঠের খেলায়। ফলে অগোছালো দল নিয়ে মৌসুমের শুরুতে অঘটনের শিকার হচ্ছে লিগের অন্যতম দলটি। কিছুদিন আগে লিডসের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর গতকাল ২-১ গোলে হেরেছে সাউদাম্পটনের কাছে। লিগে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মতো হারার পর চেলসি কোচ টমাস টুখেলের সরল স্বীকারোক্তি, চেলসিকে এখন সহজে হারানো যায়।
সাউদাম্পটনের মাঠে শুরুটা ভালো হয়েছিল চেলসির। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলছিল স্টার্লিং-হাকিম জিয়েখ-ম্যাসন মাউন্টরা। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে গিয়ে বারবার সুযোগ হাতছাড়া করছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ২৩ মিনিটে গোলের দেখা পায় চেলসি। স্টার্লিং ডি-বক্সে মাউন্টের পাস থেকে প্রথম চেষ্টায় গোল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বার বুদ্ধিদীপ্ত শটে লিড এনে দেন দলকে। তবে লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি চেলসি। ২৮ মিনিটে গোলটি শোধ করেন সাউদাম্পটনের মিডফিল্ডার রোমেও লাভিয়া। এরপর দুই দলেই আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও আক্রমণভাগের ফুটবলাররা হতাশ করেছেন নিজেদের দলকে। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত সময়ে আর একটি গোল করে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন। গোলটি করেন আরেক মিডফিল্ডার অ্যাডাম আর্মস্ট্রং।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ দিতে নেমে প্রথমার্ধের চেয়ে বাজে খেলে চেলসি। তারা পুরো ৯০ মিনিট খেলেও গোল শোধ দিতে পারেনি। অন্যদিকে স্বাগতিকেরা দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল, তবে নিজেদের ভুলে ও চেলসির ডিফেন্ডারদের প্রতিরোধে জয়ের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি তারা। ৭৪ মিনিটে তো তাদের নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন চেলসি ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা।
ম্যাচ হারার পর চেলসি কোচ টুখেল বিরক্ত হয়েছেন চেলসির পারফরম্যান্সে। তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না, উদ্বেগ শব্দটা বলা সঠিক হবে কি না। হারতে একেবারই অপছন্দ করি। এই মৌসুমে এটি দ্বিতীয়বার। আর মনে করি না, আমাদের হারাতে প্রতিপক্ষদের খুব বেশি সময় লাগে। কিন্তু এটি আমি পছন্দ করি না। আমাদের খেলার ভারসাম্য নষ্ট করা, হারানো ও বিভ্রান্ত করা খুব সহজ। এটি লিডসের বিপক্ষেও ঘটেছে। আমাদের বুঝতে হবে কেন হারতেছি এবং এর সমাধান খুঁজতে হবে।’