নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্লিপ্তভাবে চলছিল বাফুফে এলিট একাডেমির ১০ ফুটবলারের নিলাম। পছন্দমতো খেলোয়াড় কেনাকাটায় ব্যস্ত দলগুলো। নিলামে শান্ত ভাব যেন পছন্দ হলো না মোহামেডানের। এক ফুটবলারকে নিয়ে উপস্থাপকের সঙ্গে লেগে যায় মোহামেডানের ক্লাব কর্মকর্তাদের।
মোহামেডানের উত্তেজনার শুরু লেফটব্যাক আজিজুল হক অনন্তকে ঘিরে। ৫ লাখ টাকার ভিত্তিমূল্যে তাঁকে কিনে নেয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কিন্তু এই দর নিয়ে তুমুল আপত্তি ওঠে মোহামেডান থেকে। ক্লাবটির দাবি ছিল, নিলামের শেষ মুহূর্তে আজিজুলকে পাওয়ার জন্য দর হাঁকিয়ে ছিল তাঁরা।
মোহামেডানের দাবিতে ভিডিও রিপ্লে করেও পাওয়া যায়নি তাদের দর হাঁকানোর দৃশ্য। আজিজুলকে বিক্রি করা হয় ব্রাদার্সে। সেখান থেকে নিলাম বয়কটের হুমকি দেয় মোহামেডানের সমর্থক গোষ্ঠী। তাদের দাবিতে নিলাম বন্ধ থাকে ১০ মিনিটের মতো। তাদের আপত্তিতে আজিজুলের নিলাম স্থগিত করা হয় শেষ সময় পর্যন্ত।
আজিজুলের নিলাম ঝুলে থাকে একদম শেষ পর্যন্ত। তাঁকে নিয়ে নিলামে যেন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্রাদার্স-মোহামেডান। ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া আজিজুলের দাম বাড়তে থাকে পারদের মতো। শেষে আজিজুলের দাম আরও ৫ লাখ বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকায় কিনে নেয় ব্রাদার্স। নিলামে কোনো খেলোয়াড়ই কেনেনি মোহামেডান।
নিলামে খেলোয়াড়দের দাম:
চন্দন রায়- পজিশন মিডফিল্ডার (ভিত্তিমূল্য ৫ লাখ)- ৯ লাখ টাকায় শেখ রাসেলে
রুবেল শেখ- পজিশন ডিফেন্ডার(ভিত্তিমূল্য ৪ লাখ)- ৪ লাখ টাকায় ব্রাদার্স ইউনিয়নে
আসাদুল মোল্লা- অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার(ভিত্তিমূল্য৫ লাখ)- ৭লাখ ৭৫ হাজার টাকায় আবাহনীতে
ইমরান খান- পজিশন ডিফেন্ডার(ভিত্তিমূল্য ৪ লাখ) - ৪ লাখ টাকায় ব্রাদার্সে
সাজেদ হাসান জুম্মন- পজিশন মিডফিল্ড(ভিত্তিমূল্য ৫ লাখ)- ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ফর্টিস
আজিজুল হক অনন্ত- পজিশন লেফট ব্যাক(ভিত্তিমূল্য ৫ লাখ) - ১০ লাখ টাকায় ব্রাদার্সে
সুমন সরেন- পজিশন ফরোয়ার্ড (ভিত্তিমূল্য ৪ লাখ) - ৪ লাখ টাকায় ব্রাদার্সে
মো. আসিফ-পজিশন গোলরক্ষক( ভিত্তিমূল্য ৫ লাখ)- ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বসুন্ধরা কিংসে
সিরাজুল ইসলাম রানা- পজিশন লেফট ব্যাক(ভিত্তিমূল্য ৪ লাখ) -৪ লাখ টাকায় ব্রাদার্সে
মিরাজুল ইসলাম- পজিশন ফরোয়ার্ড (ভিত্তিমূল্য ৫ লাখ)- ৬ লাখ ৫০ হাজারে ব্রাদার্সে