ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রিকেট হোক বা ফুটবল—ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ মানেই মুহূর্তে মুহূর্তে রোমাঞ্চ ও লড়াই। দুই চিরশত্রু বলে কথা! আজ বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়েও ছড়াল উত্তেজনা। ম্যাড়মেড়ে হতে বসা ম্যাচটির প্রথমার্ধের শেষ দিকে বৃষ্টির মধ্যেই বারুদ জ্বালান ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ।
ম্যাচের ৪৫তম মিনিটে পাকিস্তানের ৪ নম্বর জার্সিধারী আবদুল্লাহ ইকবাল থ্রো নেওয়ার সময় পেছন থেকে বল কেড়ে নিতে চান ভারতের ক্রোয়েশিয়ান কোচ। বিষয়টি পছন্দ হয়নি পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের। মুহূর্তেই জটলা বেঁধে যায় দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে। এমনকি ঘটনা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।
তবে তাঁদের থামান ম্যাচ রেফারি। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানোয় স্টিমাচ পার পাননি। ভারতের কোচকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ছাতা মাথায় তাঁকে বেরিয়ে যেতে হয় ডাগআউট থেকে। কোচ লাল কার্ড দেখায় মাঠে হতাশা ও বিরক্তি প্রকাশ করেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। এ ঘটনায় হলুদ কার্ড দেখেন ভারতের ডিফেন্ডার সন্দেশ জিঙ্গান ও পাকিস্তানের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রাহিস নবী।
কোচকে হারানোর আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ভারত। ম্যাচের ১০ মিনিটে পাকিস্তান গোলরক্ষকের শিশুতোষ ভুলে ভারতকে এগিয়ে দেন ছেত্রী। ৬ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
স্টিমাচ ২০১৯ সাল থেকে ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯০-২০০২ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার হয়ে খেলেছেন তিনি। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়াটদের প্রথম বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন সাবেক এই ডিফেন্ডার। সেবার বিশ্বকে চমক দেখিয়ে সেমিফাইনাল খেলেন ক্রোয়েশিয়া। ডেভর সুকার-স্টিমাচরা ফ্রান্স বিশ্বকাপ শেষ করেছিল তৃতীয় হয়ে।