২০২২ সালে তাঁর অধীনেই প্রথম সাফ জিতেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। মাঝে লম্বা একটা সময় ছিলেন না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কোনো দায়িত্বে। এবার ফিরলেন বাফুফের এলিট একাডেমির কোচ ও ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসেবে। আপাতত এক বছর এই দায়িত্বে থাকছেন গোলাম রব্বানী ছোটন।
আনুষ্ঠানিকভাবে আজ দায়িত্ব নেওয়ার পর বাফুফে ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছোটন। সাফজয়ী কোচ বলেন, ‘নতুনভাবে আবার এখানে (বাফুফে) এলাম। আগে যেভাবে কাজ করেছি, এখনো সেভাবেই কাজ করতে পারব। যুব ফুটবল উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি মনে করি এখানে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। খেলোয়াড়দের উন্নয়ন এবং উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দিকেই আমার লক্ষ্য থাকবে।’
এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে মেয়েদের কোচের দায়িত্ব ছেড়েছিলেন ছোটন। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নারী দলের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তবে নারী দলের দায়িত্ব ছাড়ার কারণ হিসেবে তখন ছোটন জানিয়েছিলেন, স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না তিনি। এবার তেমনি এক প্রশ্নের উত্তরে সাফজয়ী কোচ বললেন, ‘বাফুফে সভাপতি (তাবিথ আউয়াল) ও সহসভাপতি (নাসের জাহেদি) আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ফুটবলারদের উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাব।’
এদিকে অনেক দিন থেকেই বন্ধ বাফুফের এলিট একাডেমি। আগে যে একাডেমির কোচ ছিলেন পিটার বাটলার। কিন্তু তাঁকে নারী দলের কোচ করার পর অনেকটাই থমকে যায় এলিট একাডেমির কাজ। বাফুফে সূত্র জানিয়েছে, ছোটন দায়িত্ব নেওয়ায় শিগগিরই নতুন উদ্যমে শুরু হবে এই একাডেমির কার্যক্রম।