ক্রীড়া ডেস্ক
লিওনেল মেসির মনে হতে পারে তিনি এখন ‘সপ্তম স্বর্গে’ আছেন। গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সের বিপক্ষে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামের সেই ফাইনালের পর জীবনটাই যেন বদলে গেছে আর্জেন্টাইন মহাতারকার।
বিশ্বকাপ জয়ের রেশ এখনো কাটেনি মেসির। এর মধ্যেই ৩৫ বছর বয়সী তারকার সোনালি মুকুটে আরও একটি পালক যোগ হলো। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) ভাস্কর্য তৈরি করেছে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের।
কনমেবলের জাদুঘরে দুই কিংবদন্তি পেলে ও ডিয়াগো ম্যারাডোনার ভাস্কর্যের পাশে রাখা হবে মেসির এই ভাস্কর্য। দারুণ এই সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বসিত মেসি। তিনি বলেছেন, ‘এটি সত্যি অনেক বড় অর্জন। এমন কিছু কখনো পাওয়ার কথা আমি ভাবিইনি।’
গতকাল রাতে প্যারাগুয়ের লুকেতে কনমেবলের সদর দপ্তরে কোপা লিবার্তোদোরেসের ড্রয়ের আগে মেসির হাতে ‘ফুটবলের ব্যাটন’ তুলে দেন কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিনগেজ। মেসির হাতে এই সম্মাননা তুলে দিয়ে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্ব ফুটবলের নেতৃত্ব ও শাসনভার তোমার হাতে তুলে দিলাম’।
‘বিশ্বমঞ্চের শিরোপা ছাড়া কিংবদন্তি হওয়া যায় না’— বিশ্বকাপ জয়ের পূর্বে এমন অনেক কথায় শুনতে হয়েছে মেসিকে। সেই ব্যর্থতা আর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে তিনি আজ বিশ্বজয়ী। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের কঠিন সময় কাটিয়ে সাফল্য পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেক হতাশার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অনেকবার হেরেছি, তবুও আমি পেছনে না তাকিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছি।’
আগামীকাল ভোরে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে কুরাসাওয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা। এই ম্যাচেই মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবলে শততম গোলের দুর্দান্ত মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেন। র্যাঙ্কিংয়ে ৮৬ নম্বরে থাকা খর্বশক্তির দল কুরাসাওয়ের বিপক্ষে ১ গোল করলেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হয়ে যাবে ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলারের।