ক্রীড়া ডেস্ক
রিয়াল মাদ্রিদ-সেলতা ফিগো ম্যাচের ৫-২ গোলের স্কোরকার্ড দেখে একপেশে ম্যাচ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে যাঁরা ম্যাচ দেখেছেন, তাঁরা বুঝবেন কী রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে ম্যাচটা। সাময়িক চাপে পড়া দলটিকে শেষ সময়ে উদ্ধার করেছেন ব্রাজিলের তরুণ ফুটবলার এনড্রিক।
কোপা দেল রের শেষ ষোলোর রিয়াল মাদ্রিদ-সেলতা ফিগো ম্যাচটি গত রাতে হয়েছে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। ৩৭ ও ৪৮ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল। যে দল প্রথমে এগিয়ে থাকলে ম্যাচ জিতে যায় সহজেই, সেই দলের বড় জয় অনেক ভক্ত-সমর্থক হয়তো ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষভাগে এসে ম্যাচটা হয়েছে আরও রোমাঞ্চকর। ৮৩ মিনিটে জোনাথন বামবা, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ১ মিনিটে মার্কোস আলোনসো—দুজনের গোলে ২-২ সমতা করে সেলতা ফিগো।
২-২ সমতায় মূল ম্যাচ শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে জ্বলে উঠলেন এনড্রিক। ১০৮ ও ১১৯ মিনিটে দুটি গোল করেছেন তিনি। ৫-২ গোলে জয়ের পর ব্রাজিলের ১৮ বছর বয়সী তরুণ বলেন, ‘ম্যাচটা কঠিন ছিল। তবে আমরা গোল করেছি এবং জিতেছি। জানতাম যে অতিরিক্ত সময়ে অনেক দৌড়াতে হবে আমাদের। মাঠে অনেক ভালো খেলতে হবে।’
হারার আগে হারে না রিয়াল মাদ্রিদ—স্প্যানিশ ক্লাবটি নিয়ে এই কথাটি বহু পুরোনো। মাঝে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া ব্যতিক্রমই ধরতে হবে। কারণ, চাপে পড়ে রিয়ালের মতো ম্যাচ জিততে খুব কম দলই পারে। সেলতা ফিগোর বিপক্ষে অসাধারণ জয় নিয়ে এনড্রিক বলেন, ‘এটা মাদ্রিদ। ম্যাচ না জেতা অব্দি লড়ে যাই। মাঠে গিয়ে আত্মসমর্পণ করি না। সব সময় লড়াই করি।’
নিজের জোড়া গোল এনড্রিক গতকাল উৎসর্গ করেছেন রিয়ালের ডিফেন্ডার অ্যান্টনিও রুডিগারকে। সেলতা ফিগোর বিপক্ষে এনড্রিক বদলি হিসেবে খেললেও শুরুর একাদশে খেলেছেন রুডিগার। এনড্রিক বলেন, ‘তিনি (রুডিগার) খুব ভালো। কারণ, আমাকে তিনি পছন্দ করেন এবং আমার কী করা উচিত, সেটা তিনি বলে দেন। যদি আমি না খেলি, তবু লড়ে যাওয়ার কথা বলেন।’ এমবাপ্পের পরিবর্তে ৭৯ মিনিটে গতকাল নামানো হয় এনড্রিককে। নেমে অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল করে রিয়ালকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিয়েছেন। এমবাপ্পে, ভিনি, ফেদেরিকো ভালভার্দে করেছেন একটি করে গোল।