ক্রীড়া ডেস্ক
ঢাকা: রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি। মাদ্রিদে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করা চেলসি ঘরের মাঠে জিতেছে ২-০ গোলে। গোল দুটি করেছেন টিমো ভেরনার ও ম্যাসন মাউন্ট। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে জিতে অল ইংলিশ ফাইনালও নিশ্চিত করেছে ব্লুজরা। ২৯মে ইস্তাম্বুলের ফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১২ সালে একমাত্র চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাটি জিতেছিল চেলসি।
স্টামফোর্ড ব্রিজে কাল রাতে রিয়াল একাদশে ফেরেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। শুরু থেকেই দুই দলের লক্ষ্য ছিল রক্ষণ সুরক্ষিত রাখার। প্রথম দিকে তেমন কোনো কার্যকর আক্রমণ দেখা যায়নি। এ সময় অবশ্য বল রিয়ালের পায়েই ছিল বেশি।
১২ মিনিটে প্রথম রিয়াল রক্ষণকে চাপে ফেলে চেলসি। আন্তোনিও রুডিগারের দূরপাল্লার শটে পরীক্ষায় পড়েন থিবো কর্তোয়া। এরপর মাউন্টকেও ঠেকিয়ে দেন এই বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
কিছু সময় রিয়াল রক্ষণে চাপ তৈরি করে রাখে চেলসি। পাল্টা আক্রমণ থেকে একবার বল জালে জড়িয়েই দিয়েছিলেন ভেরনার। যদিও অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয় সেই গোল। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরোনোর চেষ্টা করে রিয়াল। তবে চেলসি রক্ষণকে বিপদে ফেলতে পারছিলেন না হ্যাজার্ড-ভিনিসিয়াসরা।
এরপর ডি-বক্সের বাইরে থেকে করিম বেনজেমার দারুণ এক শট ঠেকান চেলসি গোলরক্ষক এদোয়ার্দ মেন্ডি।
২৮ মিনিটে অবশ্য ভুল করেনি চেলসি, আদায় করে নেয় প্রথম গোল। উৎস ছিলেন প্রথম লেগের নায়ক ফরাসি তারকা এনগলু কান্তে। দারুণ এক আক্রমণে ভেরনারের সঙ্গে বল দেওয়া–নেওয়া করে কান্তে বাড়ান কাই হাভের্টজের উদ্দেশে। কর্তোয়ার মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন এই জার্মান তারকা। কিন্তু বল ফিরে আসে বারে লেগে। ফিরতি বল হেডে জালে জড়াতে বেগ পেতে হয়নি আরেক জার্মান ভেরনারের।
পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালায় রিয়াল। এরপর বেনজেমার আরও একটি প্রচেষ্টা দারুণভাবে ঠেকান মেন্ডি। কিন্তু প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় জিনেদিন জিদানের দলকে। বিরতির পরপর ব্যবধান বাড়াতে পারত চেলসি। হাভের্টজের হেড প্রতিহত হয় বারে লেগে।
গোল না পেলেও রিয়ালের ওপর চাপ তৈরি করে যায় চেলসি আক্রমণভাগ। হাভের্টজকে কোর্তোয়া ঠেকিয়ে না দিলে ৫৯ মিনিটেই লিড বাড়াতে পারত চেলসি। এরপর কর্তোয়াকে একা পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন কান্তেও। নিজেরা একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করলেও রিয়ালকে খুব একটা সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকেরা। সুযোগ মিসের মহড়া থেকে বেরিয়ে চেলসি জয়সূচক গোলটি করে ৮৫ মিনিটে। ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মাউন্ট। এই গোলেই নিশ্চিত হয়ে যায় চেলসির ফাইনালের টিকিট।