আন্দ্রে ওনানা গত রাতে যা করেছেন, তা দেখে ফুটবলপ্রেমীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখছেন, ‘ও-না-না’। ওনানার ভুলেই তো ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে জিততে যাওয়া ম্যাচে ধরা খেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ক্যামেরুনের এই গোলকিপারের দুটি ভুলেই মাশুল দিতে হয়েছে রেড ডেভিলদের। প্রথম লেগে অলিম্পিক লিওঁর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র ফিরেছে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটি।
কাজের চেয়ে কথায় যেন এক কাঠি সরেস ওনানা। ম্যাচের আগে তাঁকে ক্লাবের ইতিহাসে অন্যতম বাজে গোলকিপার বলে আখ্যায়িত করেন ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার নেমাঞ্জা মাতিচ। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা চালাচালিও হয়েছিল বেশ। লিওঁর বিপক্ষে মাতিচের দাবিকে ভুল প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ওনানা। কিন্তু সেটি তো পারলেনই না, উল্টো খলনায়ক হয়ে গেলেন তিনি।
প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার থিয়াগো আলমাদার সহজ ফ্রি কিকে পরাস্ত হন ওনানা। বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেওয়া ধীর গতির ফি-কিক তাঁর সামনে থেকে পাশে ড্রপ করে মাথার ওপর দিয়ে জালে ঢুকে গেল। টিনএজ ডিফেন্ডার লেনি ইয়োরো হাফটাইমের ঠিক আগে সমতা ফেরান। ৮৮ মিনিটে জশুয়া জার্কজির হেড জালে জড়ালে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন দেখে অতিথিরা। নির্দিষ্ট সময় ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে ইউনাইটেড।
কিন্তু যোগ করা সময়ে বদলে গেল দৃশ্যপট। জর্জেস মিকাউতাজের নিচু শট ধরে রাখতে ব্যর্থ হন ওনানা। বল ঠেকানোর পর চলে যায় রায়ান চেরকির পায়ে। দারুণ শটে জালে বল জড়ান লিওঁর এই ফুটবলার। তাতে দুই দল সমতায় থেকে ম্যাচ শেষ করল।
ম্যাচশেষে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিম অবশ্য ওনানার পাশেই দাঁড়ালেন। তাঁর চোখ এখন দ্বিতীয় লেগে, ‘এটা হতে পারে। ফুটবল খেললে, আপনার ভুল হতেই পারে। আন্দ্রেকে (ওনানা) এই মুহূর্তে এমন কিছুই বলার নেই, যা তাকে সাহায্য করবে। সবকিছু বদলে দিতে আমাদের হাতে আরেকটি ম্যাচ আছে এবং সেদিকেই মনোযোগ থাকা উচিত।’