নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মন্ত্রী হয়ে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ দেখতে এলেন নাজমুল হাসান পাপন। সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মহিউদ্দীন আহমেদ। পরিদর্শনে এসেই মন্ত্রী দেখলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ(এনএসসি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের(বাফুফে) বাহাস। আর প্রেস বক্স নিয়ে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বসতি আর্কিটেক্ট।
স্টেডিয়ামের মাঠে স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম বা পানি ছিটানোর যন্ত্র নিয়ে বাফুফে আর এনএসসির স্নায়ুযুদ্ধ চলছে বেশ কয়েক দিন ধরেই। বর্তমান যুগে যেখানে মাঠ ফুঁড়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি দেওয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, সেখানে এনএসসি ব্যবহার করেছে ‘প্রাগৈতিহাসিক’ প্রযুক্তি। বাফুফের কর্মকর্তাদের দাবি, এনএসসির বসানো এই প্রযুক্তি স্প্রিঙ্কলার নয়; জলকামান! এই যন্ত্রে খেলোয়াড়দের চোটের ভয়াবহ ঝুঁকি থাকায় ভীষণ আপত্তি বাফুফের। এই জলকামান নিয়েই আজ মন্ত্রী পাপনের সামনে কথার লড়াই হয়েছে বাফুফে ও এনএসসির।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ঠিকাদারের দায়িত্বে আছে বসতি আর্কিটেক্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হয়ে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান। ‘জলকামান’ স্প্রিঙ্কলার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের তোপের মুখে পড়েন তিনি। মন্ত্রীর সামনে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক জানান, যন্ত্র বসানোর সময় তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি। ভুল যন্ত্র বসানোর পর তাদের জানানো হলে এখন ভুল শুধরানোও হচ্ছে না। ঝুঁকিযুক্ত এই যন্ত্র না সরানো হলে মাঠে ফুটবল ফেরানো সম্ভব নয় বলে মন্ত্রীকে জানান ইমরান হোসেন।
মাঠ পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই যে প্রেসবক্স নিয়ে এত কথা হচ্ছে, এই কথাটা আগেই মাথায় আসা উচিত ছিল । আমারও মনে হয়েছে, এই ধরনের পিলার প্রেসবক্সের সামনে আমি সাধারণত কখনো দেখি নাই। এই বিষয়গুলো কেন এল না, সেটা আগে দেখতে হবে। এখন যদি পরিবর্তন করা সম্ভব হয় দেখব , সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয় সেটা চেষ্টা করব। তবে পরিবর্তনের কথা বলে আরও এক-দুই বছর সময় বাড়ানো সম্ভব না।’