হামজা চৌধুরীর দলবদল নিয়ে আলোচনাটা চলছিল অনেক দিন ধরেই। অবশেষে সেটা হয়েই গেল। লেস্টার সিটি থেকে শেফিল্ড ইউনাইটেডে গেলেন বাংলাদেশি এই মিডফিল্ডার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পরিবর্তে এখন তাই তাঁকে দেখা যাবে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে।
হামজাকে দলে নেওয়ার পর নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শেফিল্ড ইউনাইটেড তাঁর একটি ছবি পোস্ট করেছে। সেই ছবিতে বাংলাদেশি ফুটবলারকে শেফিল্ডের জার্সি পরে থাকতে দেখা গেছে। শেফিল্ডের ছদ্মনাম ‘দ্য ব্লেডস’-এর সঙ্গে মিল রেখেই ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশি ব্লেড।’ ক্যাপশনের শেষে বাংলাদেশি পতাকা ও তরবারির ইমোজি ব্যবহার করা হয়েছে।
শুধু বাংলাদেশি ব্লেডই নয়, হামজাকে নিয়ে গতকাল বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। যার মধ্যে রয়েছে ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। সেই ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশি মিডফিল্ডার বলেন, ‘বেশ উচ্ছ্বসিত। গত দুই সপ্তাহ ধরেই আলোচনা চলছিল। তবে এই দলে যুক্ত হতে পেরে অনেক খুশি। মাঠে নামতে তর সইছে না।’
লেস্টার সিটির কোচ রুড ফন নিস্তেলরয়ের পরিকল্পনায় খুব একটা ছিলেন না হামজা। অন্যদিকে শেফিল্ড ইউনাইটেড কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার অনেক আগে থেকেই হামজার ভক্ত। ২০২৩ সালে ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলার সময়ে বাংলাদেশি ফুটবলারকে পছন্দ হয়েছিল তাঁর। ওয়াইল্ডার সুযোগ পেয়ে এবার হামজাকে নিজের দলে নিয়েছেন। শেফিল্ড ইউনাইটেডের ফেসবুক পেজে গতকাল প্রচারিত সাক্ষাৎকারে হামজা সেটা উল্লেখও করেছেন।
ভিডিওসহ ৬টি পোস্ট হামজাকে নিয়ে গতকাল নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে করেছে শেফিল্ড। প্রত্যেকটিরই রিঅ্যাকশন ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। অনেক বাংলাদেশি তাঁকে শুভকামনাও জানিয়েছেন। যেখানে ‘বাংলাদেশি ব্লেডের’ পোস্টে ৮ ঘণ্টায় ৪০ হাজার প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মন্তব্য হয়েছে ২ হাজারের বেশি। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী ভক্ত-সমর্থকদের কারণেই যে শেফিল্ডের ফেসবুক পেজে এমন জয়জয়কার, সেটা না বললেও চলছে। হামজার তো এখন বাংলাদেশের হয়ে খেলতেও কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: