নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে সাংবাদিকদের ভিড়। আর্থিক অনিয়ম নিয়ে ফিফার আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে করা বাফুফের নিজস্ব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ছিল আজ। এবং সেই প্রতিবেদন জমাও দেওয়া হয়েছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের হাতে।
তদন্ত কমিটির তিন মাসের অনুসন্ধানে বাফুফের একাধিক কর্মকর্তার নাম উঠে আসার কথা শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে কঠোর শাস্তির কথাও। তবে কী সুপারিশ করা হয়েছে সেই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি বাফুফে সহসভাপতি ও তদন্ত কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদ। মুখ খুলতে চাইলেন না সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর কী করণীয় হবে সেই বিষয়ে সালাউদ্দিনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ‘আমি দ্রুত নির্বাহী কমিটির সভা ডাকব। সভায় আমি সকলের কাছে প্রতিবেদন দেব, নির্বাহী কমিটি চূড়ান্ত করবে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমি পাঁচ মিনিট আগে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এটা পড়েও দেখিনি। আপনারা এখানে আছে বলে আমি কথা বলতে এলাম। প্রতিবেদন না পড়ে আমি তো এ নিয়ে কথা বলতে পারব না।’
সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের অনিয়মের বিশদ বর্ণনা দিয়েছিল ফিফা। বাফুফের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও প্রকাশ্যে আসতে কোনো বাধা দেখছেন না সালাউদ্দিন, ‘আমার এখানে কোন সমস্যা নাই। বোর্ড মিটিং ডেকে আমি তাদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দেব, তারা সিদ্ধান্ত নেবে—করণীয় কী? আমি প্রতিবেদন পড়ব, কিন্তু এখানে হাত দেব না। প্রতিবেদন বোর্ড মেম্বারদের হাতে ছেড়ে দেব। পাবলিকলি প্রকাশ করার বিষয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু সিদ্ধান্তটা বোর্ড নেবে।’
আবু নাঈম সোহাগের দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে বাফুফে। সেই ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ফেডারেশনটি। সোহাগ ‘কাণ্ডের’ মতো এমন অনিয়ম ভবিষ্যতে হবে কিনা এবং সেই বিষয়ে কোনো প্রতিজ্ঞা করবেন কিনা সেটি জানতে চাওয়া হয়েছিল সালাউদ্দিনের কাছে। জবাবে বাফুফে সভাপতির পাল্টা প্রশ্ন, ‘আপনি কি ওয়াদা করতে পারেন যে দেশে কোনো দিন ঝড় হবে না। কোনো মন্ত্রণালয়ে কিছু ঘটবে না, পরের প্রজন্ম কিছু করবে না। আমি এটা কীভাবে বলব? আমি যা বলতে পারি, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে না হয়।’