এবারের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে খেলার কথাই ছিল না আর্জেন্টিনার। অথচ, তারাই আবার টুর্নামেন্টটির আয়োজক দেশ হয়। এতে করে স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণও নিশ্চিত হয় আলবিসেলেস্তাদের।
দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার সুযোগ ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয় তারা। টুর্নামেন্টে বিদায়ের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলার কপালও পোড়ে তাদের।
তবে টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক ইন্দোনেশিয়ার গোঁয়ার্তুমির কারণে সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ইসরাইলকে আতিথ্য দিতে না চাওয়ায় ছোটদের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা ইন্দোনেশিয়ার পরিবর্তে আয়োজক দেশের সুযোগ পায়।
ভাগ্যক্রমে পাওয়া সেই সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারল না আর্জেন্টিনা। নাইজেরিয়ার কাছে ২-০ গোলে টুর্নামেন্টে বিদায় নিয়েছে তারা। অথচ, এই নাইজেরিয়ার সঙ্গে বড়দের সাফল্য বরাবরই ভালো। কিন্তু ছোটরা তা অব্যাহত রাখতে পারল না।
কাল সান জুয়ানে শুরুটা ভালোই করছিল আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণ করে গোলমুখ খোলার চেষ্টা করছিলেন কোচ হাভিয়ের মাচেরানোর শিষ্যরা। সফল তো হতে পারেইনি, উল্টো বিরতির পর গোল খেয়ে বসে আকাশি-নীলেরা। ৬১ মিনিটে নাইজেরিয়াকে লিড এনে দেন ইব্রাহিম মুহাম্মদ। আর যোগ করা সময়ে স্বাগতিকদের জালে দ্বিতীয় পেরেকটি মারেন রিলওয়ানা সারকি।
আর এতেই নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের বিদায়। শেষ ষোলোতে বিদায়ে লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়াদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা হলো না লুকা রোমেরো-আলেজো ভেলিজদের। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে বড়রা ৩৬ বছর পর তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়।
প্রতিবেশীরা হারলেও টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে ব্রাজিল। ১০ জন নিয়েও তিউনিসিয়াকে ৪-১ উড়িয়ে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। আন্দ্রে সান্তোসের জোড়া গোলের সঙ্গে একটি করে গোল করেছেন মার্কোস লিওনার্দো ও ম্যাথুস দস সান্তোস। তিউনিসিয়ার ব্যবধান কমানো গোলটি করেন মাহমুদ ঘরবেল। কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ইসরায়েল।