ক্রীড়া ডেস্ক
আগের পাঁচ সাফে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া বাংলাদেশকে নিয়ে এবারের সাফের আগে বলতে গেলে খুব বেশি উচ্ছ্বাস ছিল না সমর্থক কিংবা সংবাদমাধ্যমের কাছে। লেবানন, মালদ্বীপ ও ভুটানকে নিয়ে গড়া গ্রুপ থেকে টেনেটুনে কত পয়েন্ট পাবেন জামাল ভূঁইয়ারা, সেটাই ছিল একমাত্র জিজ্ঞাসা।
আসলে গত এক দশকে বাংলাদেশের বিবর্ণ পারফরম্যান্সের কারণেই বর্তমান দলটাকে নিয়ে ভরসা পাচ্ছিলেন না সমর্থকেরা। ইতিবাচক কিছু লেখার কিংবা বলার মতোও ছিল না বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের হাতে। ফুটবলার ও তাদের পরিবারও এক অদৃশ্য চাপে পড়ে গিয়েছিলেন আশপাশের হরেক রকম সমালোচনায়।
বাংলাদেশ এবার সেমিতে যেতে পারবে নাকি এবারও বিদায় নেবে গ্রুপপর্ব থেকে—সেটা জানা যাবে আগামী পরশু ভুটান ম্যাচের পরেই। তবে মালদ্বীপকে যেভাবে হারিয়েছেন জামালরা তাতে বেশ আশা জেগেছে বর্তমান দলটাকে ঘিরে। এই দলটাও নিজেদের তাতিয়ে রেখেছে সমালোচনাকে নিজেদের অস্ত্র বানিয়ে। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান বললেন তেমনটাই, ‘সাফে খেলতে পারাটাই খেলোয়াড়দের আলাদা অনুপ্রেরণা দেয়। চারদিক থেকে নেতিবাচক সব খবরও খেলোয়াড়দের নাড়া দেয়। তারা নিজেদের মধ্যেই আলোচনা করছে যে, কেন আমরা পারছি না। আমাদের কিছু করতে হবে।’
বাংলাদেশকে বেশি তাতিয়েছে লেবানন ম্যাচে ৮০ মিনিটে গোল হজমের ঘটনা। টিম মিটিংয়ে সব খেলোয়াড় দিয়েছিলেন নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। আমের খান বললেন, ‘৮০ মিনিট পর্যন্ত আমরা ভেবেছিলাম একটা পয়েন্ট পেয়ে গেছি। কিন্তু একটা ভুলে আমরা গোল খেয়ে বসেছি। তারিক কাজী স্বীকার করেছে সে ভুল করেছে। এরপর সে বলেছে, আমার ভুল হয়েছে, পরের ম্যাচটা আমি ভালো খেলতে চাই। তপু বলেছে, আমি আমার জায়গায় সেরাটা দেব, জামাল বলেছে, আমি আমার সেরাটা দেব। সেই যে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, সেই আত্মবিশ্বাসকেই শক্তি হিসেবে নিয়ে কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে আগের ম্যাচে নামা। খেলোয়াড়েরা বলেছে ‘‘আর কিছু বুঝি না, আমাদের পরপর দুটি ম্যাচ জিততে হবে।’’ এটা দিয়েই আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম, সেটা ধরেই এগোচ্ছি।’