দ্বিতীয় গোলের পর লরেঞ্জো ইনসিনিয়া উদ্যাপনে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজ! কেভিন ডি ব্রুইনা, রোমেলু লুকাকু, থিবো কর্তোয়াদের নিয়ে গড়া বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্ম নিয়েও যে ইউরোর শেষ আটেই থামতে হলো তাঁকে।
এই এক অন্য ইতালি! অজেয় ইতালি! রবার্তো মানচিনির দল জেতার জন্যই মাঠে নামে—কেউ এই দাবি করলেও বাড়াবাড়ি হয়তো হবে না। দুর্দান্ত আক্রমণভাগ, প্রায় নিশ্ছিদ্র রক্ষণ আর মাঝমাঠ থেকে অনবদ্য প্রেসিং—সব মিলিয়ে সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রদর্শনী দেখিয়ে কাল বেলজিয়ামকে হারিয়েছে তারা।
ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার দলের মাঝমাঠের ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করেন। তবে ইতালির বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াই করেও দলকে জেতাতে না পারায় হতাশ। ডি ব্রুইনা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে যেন রাজ্যের হতাশা লুকাতে চাইলেন।
ডি ব্রুইনা শুধু নন, হতাশ রোমেলো লুকাকুও। হারের পর লুকাকুর বিধ্বস্ত মুখাবয়ব বলে দিচ্ছে ম্যাচের ফল। একটু আগেই ইউরো ২০২০ থেকে বাদ পড়া যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড!
বেলজিয়ামের আরও একটি আক্রমণ। তবে সেটি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। ডি-বক্সে জেরেমি ডোকু আর লুকাকোর আক্রমণ ঠেকাতে নিচে নেমে এসেছেন ইতালির ছয় ফুটবলার।
ইতালির ইমোবিলকে আটকাতে দুই পাশ থেকে টবি আলডারওয়াইল্ড আর জান ভারটংগেন। তবে ইমোবিলে তখনো বল তাঁর নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। ছবিতে ইমোবিলেকে যেমন আটকাতে পারেননি দুই বেলজিয়াম ফুটবলার, ম্যাচেও ইতালিকে রুখতে পারেনি বেলজিয়াম।