নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলার পরও তিনি নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশীদার! আজ বুধবার ছিল বাফুফে নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের প্রথম দিন। এদিন হুট করেই ফেডারেশনে আসেন বিদায়ী সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। তাঁর আসা নিয়ে ফুটবলপাড়ায় নানা গুঞ্জন। কেনই–বা এলেন? আবার সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সালাহউদ্দিন না থাকলেও তাঁর কমিটির যাঁরা এসেছিলেন মনোনয়ন ফরম তুলতে, তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই বাফুফেতে আসা। আরেক কর্মকর্তা দিলেন ভিন্ন খবর, ‘তাঁর (সালাহউদ্দিন) আসার কোনো দরকারই ছিল না। তিনি তো এই পথটা চেনেন। কীভাবে কী করতে হয় সেটাও ভালো জানেন। এ জন্য হয়তো এসেছেন বুদ্ধি–পরামর্শ দিতে।’
সালাহউদ্দিন ফুটবল জগতের পুরোনো সংগঠকই। ১৬ বছর ছিলেন বাফুফে সভাপতির চেয়ারে। দীর্ঘ এই সময়ে তাঁর প্রাপ্তির খাতায় হতাশা আর অপ্রাপ্তি বেশি জমা হলেও পথটা কিন্তু তাঁরই বেশি চেনা।
নিয়ম অনুযায়ী ৩ অক্টোবর বাফুফের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের কিছু কাজ অবশিষ্ট থাকায় আরেকটি নির্বাহী কমিটির বৈঠক করার কথা রয়েছে। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সালাহউদ্দিনের বিদায়ী সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে। তার আগে আজ তাঁর বাফুফেতে আসাটা প্রশ্নের জন্ম দিল। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের বাকিটা সময় মূল দায়িত্বে থাকে গঠিত কমিশন।