বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে সফল দলের একটি উরুগুয়ে। বিশ্বকাপের দুবারের চ্যাম্পিয়নরা কোপা আমেরিকায়ও জিতেছে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ ১৫ শিরোপা। তবে এই মহাদেশীয় লড়াইয়ে ২০১১ সালের পর আর খেলতে পারেনি ফাইনাল। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি কোচ মার্সেলো বিয়েলসার অধীনে এবার সেই অপেক্ষার ইতি টানার খুব সামনে উরুগুইয়ানরা। ১৩ বছরের পুরোনো দুঃখ ভুলতে আগামীকাল সকালে নর্থ ক্যারোলাইনায় শেষ চারে তাদের জিততে হবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে।
টাইব্রেকারে ফেবারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে উরুগুয়ে। কোপায় ২০১১ সালের পর এটি তাদের প্রথম শেষ চারও। সেই শেষ চারের লড়াইয়ে নামার আগে বিয়েলসা কলম্বিয়ার আক্রমণভাগে ভাসিয়েছেন প্রশংসায়। লা ট্রাইকালার নামে এক রেডিওতে বলেছেন, ‘কলম্বিয়ার অনেক ফরোয়ার্ড, যা এ সময়ের জন্য সাধারণ কোনো বিষয় নয়। তাদের একাধিক জায়গায় অনেক বিকল্প রয়েছে।’
লড়াইটা উরুগুয়ে ও কলম্বিয়ার পাশাপাশি এ দুই আর্জেন্টাইনেরও। বিয়েলসার অধীনে উরুগুয়ে ফিরে পেয়েছে তাদের স্টাইল। আর লরেঞ্জোর অধীনে কলম্বিয়ানদের মনে করা হচ্ছে এবারের কোপার ‘কালো ঘোড়া’। সেই ঘোড়ার দৌড় দিয়ে ২০০১ সালের পর আরেকবার ফাইনালে যেতে পারবে তো দলটি? লরেঞ্জোর চোখ অবশ্য শিরোপায়, ‘এটা (শিরোপা জয়) কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়।’
আধুনিক ফুটবলের অন্যতম প্রভাবশালী কোচ মনে করা হয় বিয়েলসাকে। তাঁর ফুটবল দর্শন আক্রমণাত্মক। তবে শেষ আটে ব্রাজিলের বিপক্ষে শারীরিক ফুটবলের কারণে সমালোচিত হয়েছেন। লরেঞ্জোর নামডাকটা এবারের কোপা দিয়ে। কাউন্টার প্রেসিং ফুটবল কৌশল দিয়ে বোকা জুনিয়র্সের সাবেক এই ডিফেন্ডার প্রতিপক্ষকে স্বস্তিতে থাকতে দেননি। ২০১৪ বিশ্বকাপের স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়া হামেস রদ্রিগেজ ফর্মে থাকায় এবার দারুণ কিছুর স্বপ্নও দেখছেন তিনি। বিয়েলসার সঙ্গে লরেঞ্জোর একবারই দেখা হয়েছে। গত বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচে উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া ড্র করেছিল ২-২ গোলে।