ঢাকা: বিদেশি খেলোয়াড়দের কাছে প্রায়ই অভিযোগটা শোনা যায়, বাংলাদেশের মাঠে খেলা কঠিন! ন্যাড়া মাঠে আশঙ্কা থাকে চোটে পড়ার। এ কারণে দেশের বাইরে টার্ফ কিংবা নরম ঘাসের মাঠে গতিময় ফুটবল খেলতে গেলেই খাবি খান বাংলাদেশের ফুটবলাররা।
মাঠ নিয়ে এত অভিযোগের পরও বাফুফের ব্যস্ততা অধিকাংশ সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে ঘিরেই। প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বেও ঘটেনি এর ব্যত্যয়। ঈদুল ফিতরের আগে যে সূচি প্রকাশ করেছে ফেডারেশন, তাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের চাপ আরও বেড়েছে!
‘যদি, হয়তো’ রেখে বিপিএল ফুটবলের দ্বিতীয় পর্বের সূচিতে ঈদের আগে হবে ২৩ ম্যাচ। ঈদ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩০ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই খেলা হবে। সব খেলাই হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। এক দিনেই হবে অন্তত তিনটি করে ম্যাচ!
গত বছর ২৬ মার্চ থেকে শুরু লকডাউনে অপ্রত্যাশিত লম্বা ছুটি মিলেছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সেপ্টেম্বর থেকে শুরু। গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ গেমসের সমাপনী পর্যন্ত প্রায় বিরামহীনভাবে কোনো না কোনো টুর্নামেন্টে চলেছে এই মাঠে।
কাল থেকে শুরু প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিনে বিকেল ৪টায় উত্তর বারিধারার বিপক্ষে খেলবে বসুন্ধরা কিংস। সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ পুলিশ খেলবে আবাহনীর বিপক্ষে। রাত ৯টায় আছে ব্রাদার্স-শেখ রাসেল ম্যাচ। ঈদের আগপর্যন্ত এই সূচিতেই চলবে লিগ। ২০২০-২১ মৌসুম শেষ হবে ১০ আগস্ট। ঈদের আগের সূচিতে ভজকট পাকাতে পারে মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলসের সঙ্গে আবাহনীর ম্যাচটি। ৫, ৬ কিংবা ৭ মে এএফসি কাপে প্রাক্-বাছাই পর্বের ম্যাচটি ঢাকাতেই আয়োজন করতে চায় আকাশি-নীলরা।