ক্রীড়া ডেস্ক
পুসকাস অ্যারেনায় গতকাল জোসে মরিনহোর লক্ষ্য ছিল নিজের রেকর্ড বাড়িয়ে নেওয়ার। ইউরোপা লিগের ফাইনালে হেরে যাওয়ায় পরে তা আর হয়নি। সব মিলিয়ে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের টুর্নামেন্টের ফাইনালে শতভাগ জয়ের ধারা ব্যাহত হওয়ায় ম্যাচ শেষে অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি।
তাই হয়তো রানার্সআপের পদকটি নিজের কাছে রাখতে চাননি মরিনহো। টানেল দিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে নিজের গলার রৌপ্য পদকটি দিয়েছেন এক খুদে ভক্তকে। পদকটি পেয়ে যারপরনাই পুলকিত ছিল সেই ভক্ত। আশপাশে তাকিয়ে দেখছিল আর যেন বিশ্বাসই করতে পারছিল না ‘দ্য স্পেশাল ওয়ানের’ কাছ থেকে পদকটি পেয়েছে সে।
এমনটা অবশ্য প্রথম নয় মরিনহোর কাছে। এর আগেও পদক গ্যালারিতে ছুড়ে মেরেছেন তিনি। সেটিও চেলসির হয়ে ২০০৬ সালে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নের পদক। যদিও পরে জানা যায়, সেটা নিজের ছিল না। ছিল নিজের শিষ্য রবার্ট রুথের। সেদিন এই ডিফেন্ডার ম্যাচে না খেলায় পর্তুগিজ কোচের কাছে শিষ্যের পদকটি ছিল। আর সেটাকে নিজের মনে করে গ্যালারিতে ছুড়ে মেরেছিলেন তিনি।
গতকাল সেভিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ফাইনাল পরে পেনাল্টিতে ৪-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় তিক্ত এক অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েছেন মরিনহো। চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগ মিলিয়ে আগের পাঁচ ফাইনালে কখনো হারেননি তিনি। এবার ষষ্ঠবারের ফাইনালে হেরেছেন রোমা কোচ। যদিও শুরুটা দুর্দান্ত ছিল তাঁর দলের। ম্যাচে পাওলো দিবালার গোলে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। আবার তাঁর শিষ্য জিয়ানলুকা মানচিনির আত্মঘাতী গোলেই সমতায় ফেরে প্রতিপক্ষরা। শেষে আর পেরে উঠল না তাঁর দল।