ক্রীড়া ডেস্ক
খেলার মাঠ রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বিশেষ করে যখন দুই হেভিওয়েট দল মুখোমুখি হয়, তখন উত্তেজনা ছড়ায় বেশি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভক্ত-সমর্থকদের এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, যার ফলে ম্যাচ বন্ধ রাখা বা বাতিলও হয়ে যায়। ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে গত রাতে ‘মাদ্রিদ ডার্বি’ রীতিমতো কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।
মাদ্রিদ ডার্বির ম্যাচটা গত রাতে ছিল মূলত লা লিগায়। ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৬৪ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে নেন এদের মিলিতাও। ম্যাচের পর গোল উদ্যাপন করেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। তিনি একসময় (২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত) আতলেতিকোয় ছিলেন। মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামের ভক্ত-সমর্থকেরা গত রাতে তাঁদের সাবেক খেলোয়াড়ের উদ্যাপন স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। ৬৮ মিনিটে দর্শক খেপে যান। রিয়ালের গোলপোস্টের পেছনে কোর্তোয়াকে লক্ষ্য করে প্লাস্টিকের বোতল, লাইটার ছুড়ে মারেন। যেখানে লাইটার কোর্তোয়া জমা দেন রেফারির কাছে। সে সময় লাউড স্পিকারে দর্শকদের উদ্দেশে রেফারি বলেছেন, ‘এমন আচরণ বন্ধ করুন। নইলে খেলা বাতিল করে দেব।’
দর্শকদের হাঙ্গামায় ১৫ মিনিট বন্ধ রাখা হয়েছিল ম্যাচ। রেফারির নির্দেশে মাঠ ছাড়লেন দুই দলের ফুটবলাররা। পুনরায় খেলা শুরু হলেও দর্শকদের সহিংস আচরণ বন্ধ হয়নি। ম্যাচ শেষে আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনে ভক্ত-সমর্থক, থিবো কোর্তোয়া সবাইকে এমন ঘটনায় দায়ী করেছেন। সিমিওনে বলেন, ‘অবশ্যই ভক্ত-সমর্থকেরা লাইটার ছুড়েছে যেমনটা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হয়েছিল। তখন কোর্তোয়া আমাদের খেলোয়াড় ছিল এবং তার মাথায় লাইটার আঘাত করেছিল। এটা অবশ্যই যৌক্তিক নয়। তবে ভক্ত-সমর্থকের উসকে দেওয়া, তাদের খেপিয়ে তোলা—এগুলো তো করতে পারি না। গোল উদ্যাপন আপনি করতেই পারেন। তবে সেটা প্রতিপক্ষ সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে নয়। গ্যালারির দিকে এমন অঙ্গভঙ্গি করা উচিত হয়নি।’
স্পষ্টতই খেলা মাঝপথে ১৫ মিনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আতলেতিকো সমর্থকদেরই অধিকাংশে দায়ী করা হয়। তবে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি কারও দিকে আঙুল তোলেননি। ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি বলেন, ‘রেফারি ম্যাচ থামিয়ে সঠিক কাজই করেছেন। মাঠে উল্টোপাল্টা বস্তু ছোড়া হচ্ছিল। নিরাপত্তা এখানে মূল ব্যাপার। এটা কোনো দলের পক্ষে কাজ করেনি। আমরা দুই পক্ষই সমানভাবে আক্রান্ত হয়েছি। কেউই এমন পরিস্থিতি পছন্দ করেননি। রেফারি দারুণভাবে কাজ করেছেন।’